ডাকাতি রুখল পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়েই হানা পুলিশের। ঘটনাস্থলে যেতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি। জবাব দেয় পুলিশও। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় পুলিশের। শেষমেশ ২ দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে চম্পট বাকিদের। ফেরার দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু। চন্দননগরের রাস্তায়-রাস্তায় নাকা চেকিং।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে চন্দননগরে একটি গোল্ডলোন সংস্থার অফিসে ডাকাতি করতে ঢোকে জনা সাতেক দুস্কৃতী। চন্দননগরের গঞ্জের বাজারে জিটি রোডের ধারে ওই সংস্থার অফিস। মঙ্গলবার গঞ্জের বাজার বন্ধ থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এদিন দুপুরে এলাকা ছিল শুনশান। বেলা আড়াইটের পর ওই সংস্থার অফিসে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র কয়েকজন দুষ্কৃতী। সংস্থার কর্মীদের মারধর শুরু করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র পাঁচশো মিটার দূরত্বে রয়েছে চন্দননগর থানা। এদিন কোনওভাবে ওই অফিসে ডাকাত-হানার খবর পেয়ে যায় পুলিশ। দ্রুত থানা থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশকর্মীরা। পুলিশের বিশাল বাহিনী এলাকায় পৌঁছে যায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। ততক্ষণে এলাকায় ভিড় জমে গিয়েছে স্থানীয়দেরও।
পুলিশ ওই অফিসে ঢুকতেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। গুলি ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে কয়েকজন দুষ্কৃতী। এক পথচারীকে বন্দুক ঠেকিয়ে তাঁর বাইক নিয়ে কয়েকজন চম্পট দেয়। পরে নাকা চেকিং চালিয়ে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে পুলিশ। এদিন পুলিশ-ডাকাত সংঘর্ষে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন- ত্রাণ বিলিতে বিপত্তি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু দুই যুবকের
এদিন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গেই কমিশনারেটের পদস্থ পুলিশকর্তারাও তদন্তে যান। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পলাতক বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন