CV Ananda Bose Controversy: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এবার নতুন মোড় সামনে এল। গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন নির্যাতিতা। এবার রাজভবনের তিন কর্মীর নামে মামালা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের স্ক্যানারে রাজভবনের ওই তিন কর্মী। সূত্রের খবর, শীঘ্রই লালবাজারের তরফে রাজভবনের ওই তিন কর্মীকে নোটিস পাঠানো হতে পারে। জানা গিয়েছে, রাজভবনের যে তিন কর্মীর নামে মামলা রুজু হয়েছে তার মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাজভবনের যে মহিলা কর্মী এর আগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছিলেন তিনি সম্প্রতি বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তরুণীর কয়েক ঘণ্টার সেই জবানবন্দি রেকর্ডও করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজভবনের ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মীকে নালিশে বাধা দেওয়ার অভিযোগেই ওই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন রাজভবনের ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মী। রাজ্যপাল চেম্বারে ডেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই মহিলার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। ওই তরুণী পরে পুলিশে অভিযোগ করলে তদন্ত শুরু হয়। তবে রাজ্যপালের সাংবিধানিক কিছু অধিকার থাকায় সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপে বাধা আছে। এরপরেই রাজভবনের CCTV ফুটেজ চেয়ে চিঠি পাঠায় লালবাজার (Lalbazar)। রাজভবনের তরফে এরপর সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। তবে সেই ফুটেজ ছিল রাজভবনের প্রধান গেটের আউটপোস্টের দু'টির সিসিটিভির।
যদিও কলকাতা পুলিশের হাতেও আরও একটি ফুটেজ আসে। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ওই তরুণী গত ২ মে রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে এসে স্পেশাল সেক্রেটারির ঘরে যান। তাঁকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা হয়। পরে তরুণী রাজভবনের ওসির ঘরেও যান।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে চাকরি দেবেন বলে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। সেই অভিযোগ পুলিকেও করেছেন তিনি। তারই ভিত্তিতে সম্প্রতি আদালতে তরুণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরেই রাজভবনের তিন কর্নীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এবার তাঁদের নোটিস পাঠাতে পারে লালবাজার।
অন্যদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির আরও একটি নালিশ নিয়ে অনুসন্ধান রিপোর্ট সম্প্রতি জমা পড়েছে নবান্নে। দিল্লিতে এক নৃত্যশিল্পীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। কলকতা থেকে ওই নৃত্যশিল্পীকে দিল্লিতে একটি নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
দিল্লিতে একটি বিলাসবহুল হোটেলে ওই নৃত্যশিল্পীকে রাখার বন্দোবস্ত করেছিলেন রাজ্যপালই। তাঁর এক আত্নীয় ওই নৃত্যশিল্পীর জন্য ঘর বুক করে দিয়েছিলেন বলে শোনা যায়। হোটেলের ঘরে রাজ্যপাল তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন বলে ওই মহিলার অভিযোগ। সেই অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নেমেছিল কলকাতা পুলিশ। কিছুদিন আগেই সেই অনুসন্ধান রিপোর্টও জমা পড়েছে নবান্নে।