Kultali News: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে প্রতারক সাদ্দাম সরদারের বাড়িতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় পুলিশকর্তাদের। গতকাল ধৃতদের জেরা করে আজ ফের সাদ্দামের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেই বাড়িতে মেলে সুড়ঙ্গের হদিশ। সেই সুরঙ্গের শেষটা একেবারে গিয়ে পড়েছে মাতলা নদীতে।
এ গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানাবে। সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ দিয়ে আদতে লুটপাট চালাতো সাদ্দাম সরদার ও তার দলবল। পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ এর আগে একাধিকবার এসেছে। তারই ভিত্তিতে গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির পয়তারহাটে অভিযানে গিয়েছিল বারইপুর জেলা পুলিশের একটি বিশেষ দল। সাদ্দামকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করেই গুলি চালিয়েছে সাদ্দাম অনুগামীরা।
যদিও শেষমেষ মূল অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারের বাড়ি থেকে দুই মহিলাকে আটক করে পুলিশ । যদিও সাদ্দাম ও তার ভাই সাইরুলের খোঁজ মেলেনি। গতকাল সাদ্দামদের গ্রেফতার করতে গিয়ে বেনজির বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকর্মীদের।
আরও পড়ুন- Success Story: গগনভেদী সংকল্পে অবিশ্বাস্য সাফল্যের শীর্ষে বাঙালি! অকল্পনীয় দক্ষতায় দুরন্ত বিজয়
পুলিশের দাবি, গতকাল যাদের আটক করা হয় তাদের জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মেলে। তারই ভিত্তিতে এবার সাদ্দামের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিতে চোখ কপালে দুঁদে পুলিশ কর্তাদেরও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদ্দামের শোয়ার ঘরে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ মিলেছে। যার শেষটা হয়েছে একেবারে মাতলা নদীতে।
আরও পড়ুন- Darjeeling’s Jawan martyred: কাশ্মীরের জঙ্গলে সেনা-জঙ্গি দুর্ভেদ্য এনকাউন্টার! দুর্ধর্ষ অভিযানে শহিদ বাংলার বীর জওয়ান
পুলিশের আরও দাবি, সোনার মূর্তি বিক্রির টোপ দিয়ে নিজের গ্রামে লোকজনদের ডেকে আনত সাদ্দাম ও তার দলবল। তারপর তাদের ডেকে এনে লুটপাট চালাতো। সুড়ঙ্গ পথে এরপর কেটে পড়তো তারা। তবে সাদ্দাম শুধুই যে সোনার মূর্তির টোপ দিয়ে লুটপাটে অভিযুক্ত তা নয়। পুলিশের দাবি, এছাড়াও নকল সোনা বিক্রি এমনকী জাল নোটের চক্রের সঙ্গেও সাদ্দামদের যোগ ছিল। তার এলাকার আরও কয়েকজন এই বেআইনি কারবারে যুক্ত বলেও পুলিশের দাবি।