অবশেষে খোঁজ মিলেছে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রোগীর। পুলিশই তাঁর খোঁজ পেয়েছে। উদ্ধারের পর তাঁকে পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলেও দিয়েছে পুলিশ। অপারেশনের ভয়েই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন প্রৌঢ়, এমনই দাবি পুলিশের।
জানা গিয়েছে, হার্নিয়া অপারেশন করানোর জন্য চলতি মাসের ১৯ তারিখ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলার বাসিন্দা বিশ্বনাথ রায়। হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানোর পর দিন দু'য়েক সব ঠিকই ছিল। তবে ২১ নভেম্বর থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান প্রৌঢ়। গোটা হাসপাতালে তন্নতন্ন করে তাঁর খোঁজ চললেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। জেলা থেকে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে প্রৌঢ়ের এভাবে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
তাঁর পরিবারের সদস্যরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চিকিৎসাধীন রোগী কীভাবে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে সকলের নজর এড়িয়ে সটান হাসপাতালে বাইরে চলে গেলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় রোগীর পরিবারে সদস্যদের।
আরও পড়ুন- আরও বাড়ল শীতের কামড়, দিন কয়েকে ঠান্ডার দাপট বাড়বে এই জেলাগুলিতে
২১ নভেম্বর বিভিন্ন জাযগায় বিশ্বনাথ রায় নামে ওই ব্যক্তির খোঁজ চললেও তাঁর হদিশ মেলেনি। পরের দিন অর্থাৎ ২২ নভেম্বর ভবানীপুর থানায় গিয়ে মিসিং ডায়েরি করেন বিশ্বনাথ রায় নামে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। পুলিশও এরপর কোমর বেঁধে তাঁর খোঁজ শুরু করে। হয়তো অপারেশনের ভয়েই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতে পারেন বিশ্বনাথবাবু, এমন আশঙ্কা শুরু থেকেই ছিল তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্যের মনে।
ভবানীপুর থানায় মিসিং ডায়েরি হলেও শেষমেশ বিশ্বনাথ রায়ের খোঁজ মেলে নারকেলডাঙা থানা এলাকায়। পরে ভবানীপুর থানার পুলিশের হাতে বিশ্বনাথবাবুকে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। প্রৌঢ়কে তাঁর পরিবারের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর পরিবারেরও একই দাবি, অপারেশনের ভয়েই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বনাথবাবু। এর আগেও শহর কলকাতার একাধিক হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সব ক্ষেত্রেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই নজরদারির অভাব থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে।