আচমকা স্বাস্থ্য ভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ গেরুয়া দলের। ডেঙ্গি মোকাবিলায় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা ও একটি 'প্রেজেন্টেশন' জমা দিতে বিজেপির ২২ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে এদিন সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুভেন্দু অধিকারীরা পৌঁছনোর আগেই স্বাস্থ্য ভবনের মেন গেট বন্ধ করে দেন পুলিশকর্মীরা। শুভেন্দু পৌঁছোতেই শুরু তুমুল বচসা। তাঁকে ও তাঁর দলের বিধায়কদের ভিতরে ঢুকতে না দেওয়ায় পুলিশকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের। 'হিসেব হবে', ভয়ানক হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু আর যা যা আজ বললেন, তা ঘিরে মঙ্গলবারের বারবেলা সরগরম।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
"রাজ্যটাকে শেষ করে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমরা বিরোধী দল। আমাদের দায়িত্ব সরকারকে জানানো। করোনার থেকেও ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি। ১০০-র বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন। রাজ্য সরকার কেন্দ্রকে ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক রিপোর্ট দিচ্ছে না। এই ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার। আমাদের স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে দিচ্ছে না। স্বাস্থ্যভবন তৃণমূলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়। বাংলার ডেঙ্গি অবস্থা ভয়াবহ।"
রাজ্যের কোন কোন এলাকায় ডেঙ্গি অত্যন্ত বিপজ্জনক আকার নিয়েছে বলে মনে করেন শুভেন্দু?
বিরোধী দলনেতার কথায়, "দক্ষিণ দমদম ও যাদবপুরের বাড়ি-বাড়ি ডেঙ্গি। শুধু স্প্রে করলেই চলবে না। এব্যাপারে গত এপ্রিল-মে মাস থেকে ব্যবস্থা নিতে হতো। কেন্দ্রের ১০০ কোটি টাকা ঝেড়েছে মমতা ব্যানার্জির সরকার আর স্বাস্থ্যভবন। ডেঙ্গির আসল সংখ্যা লুকোত চাইছে সরকার।"
আরও পড়ুন- মন-মেজাজ দুটোই খারাপ দিলীপের! ‘সম্মান না দিলে…’ কী ইঙ্গিত বিজেপি সাংসদের?
রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক আকার নিয়েছে। ফি দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সর্বত্র দাপট বাড়ছে মশাবাহিত এই রোগের। ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে বিজেপি বিধায়কদের তরফে একটি 'প্রেজেন্টেশন' জমা দিতে আজ গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের আটকানোয় এদিন পুলিশকে তুমুল হুমকি দিয়ে বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, ''সব হিসেব হবে। মনে রাখবেন বিজেপির আমলে আপনাদের কাজ করতে হবে।"