রবিবারের পর সোমবারও সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে রয়েছে পুলিশ ও সিআরপিএফ। তবে স্বাভাবিক ছন্দেই সপ্তাহের প্রথম দিনের কাজ শুরু সিজিও-তে। এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে রয়েছে বিধাননগর পুলিশের তিনটি গাড়ি। সিজিওর ভিতরে রয়েছে সিআরপিএফ।
উল্লেখ্য, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার পরই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স ঘিরে ফেলে পুলিশ। শুধু পুলিশই নয়, সিবিআই দফতর ঘিরে ফেলে সিআরপিএফ। গতকাল নিজাম প্যালেসও ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখানেও হানা দেয় সিআরপিএফ। উল্লেখ্য, সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই সারদা, রোজভ্যালি-সহ সমস্ত চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
গতরাতে সিজিও-র বাইরে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ।
আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশের হাতে আটক সিবিআই তদন্তকারীরা, নগরপালের বাড়িতে মমতা
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে রাজীব কুমারের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। যা ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে সিবিআইয়ের রীতিমতো ধস্তাধস্তি, বাদানুবাদ হয়। রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে কয়েকজন সিবিআই আধিকারিককে জোর করে গাড়িতে তুলে শেক্সপিয়র সরণি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: CBI raid on Kolkata CP: সরকার আপাতত ধর্মতলায়
কেন রাজীব কুমারের বাড়িতে গেল সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে বেশ কয়েকবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তিনি হাজির হননি।
রবিবার যখন কলকাতায় তুলকালাম অবস্থা চলছে তখন সিজিও কমপ্লেক্সের চারদিকে ঘিরে ফেলে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। রবিবার সিজিও কমপ্লক্সে যেসব অফিস খোলা থাকে, সেখানকার অফিসকর্মীরা আটকে পড়েন।