যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অপমৃত্যুতে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত সৌরভ-সহ আরও কয়েকজন ঘটনার দিন স্বপ্নদীপের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। হস্টেলের ঘরোয়া আবহে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পড়ুয়া স্বপ্নদীপকে নিজের সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয়েছিল। কার্যত নির্দেশের সুরে ওই 'ইন্ট্রোডাকশন পার্ট'ই ছিল 'র্যাগিং'। প্রাক্তনী সৌরভকে গ্রেফতারের পর আজ তাঁকে হেফাজতে চাইবে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করেই এব্যাপারে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা।
যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া সৌরভ চৌধুরীকে। সূত্রের খবর, প্রথমে স্বপ্নদীপের বাবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এই সৌরভই। স্বপ্নদীপের হস্টেলে থাকার ব্যাপারেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল সৌরভের। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন স্বপ্নদীপের সঙ্গে কথা হয়েছিল সৌরভ-সহ আরও চার থেকে পাঁচজনের। সেটাই ছিল সৌরভের 'ইন্ট্রোডাকশন' পার্ট।
আরও পড়ুন- যাদবপুরের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু মামলা, পুলিশের হাতে আটক বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী
ইন্ট্রোডাকশনের নামে ওই কথোপকথনের ব্যাপারে বিশদে জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। সৌরভকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করলেই 'সত্য' উদঘাটিত হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। স্বপ্নদীপের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পুলিশি প্রশ্ন এড়াচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ, যাদবপুর-কাণ্ডে আরও জোরালো র্যাগিং তত্ত্ব
এদিকে, পড়ুয়ার অপমৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন অধ্যাপক, তিন ছাত্র প্রতিনিধি এবং একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে মৃত স্বপ্নদীপ কুণ্ডু’র বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। দোষীদের খুঁজে বের করে যথাযথ শাস্তির সুপারিশ করা হবে বলে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।