ভাঙড়ের হাতিশালার সংঘর্ষের রেশ পড়ল শহর কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায়। ভাঙড়ে তৃণমূলের আক্রমণের প্রতিবাদে এদিন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশদ সিদ্দির নেতৃত্বে ধর্মতলা অবরোধ করে আইএসএফ কর্মী, সমর্থকরা। পুলিশ অবরোধ তুলতে বললেও তোলা হয়নি। উল্টে তৃণমূলের ভাঙড়ের নেতা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবিতে অনড় থাকেন অবরোধকারীরা। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ করে ইঁট ছুড়তে থাকেন আইএসএফ সমর্থকরা। এরপরই পুলিশ আন্দোলনকারীকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চার্জ করে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।
এতে অবরোধকারীরা রাস্তা ছেড়ে উঠে যায়। কিন্তু, পুলিশকে নিশানা করে পাথর, ইট ছোড়া থামেনি। উত্তেজনা বজায় থাকে ধর্মতলায়। ফলে ফের কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে নামে পুলিশ। আইএসএফ বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ। সংঘর্ষে বহু আইএসএফ কর্মী, সমর্থক পুলিশের লাঠিতে আহত হন। এক পুলিশ কর্মীও জখম হয়েছেন। ধর্মতলাজুড়ে পড়ে মানুষের জুতো।
ঘটনার প্রায় আধ ঘন্টা পর ধর্মতলা এলাকা কিছুটা শান্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে কলকাতা পুলিশের ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিকরা।
শনিবার সকালে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূল ও আইএসএফ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি, ইটবৃষ্টির পাশাপাশি বোমাবাজি, গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবলে কলকাতায় যাওয়ার পথে তৃণমূলের উপর হামলা চালানো হয়েছে। ভাঙা হয়েছে শাসক দলের পার্টি অফিস। বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে এই হামলা চলে বলে অভিযোদ তৃণমূলের।
পাল্টা আইএসএফের দাবি, আরাবুল ইসলামের দলবল রাজনৈতিকভাবে না পেড়ে আইএসএফের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। নওশদকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নওসদ সিদ্দিকি কোনও মতে গাড়িতে করে এলাকা ছেড়ে কলকাতায় আসেন। নওশদের গ্রেফতারের দাবিতে ভাঙড়ে রাস্তা অবরোধ করেন আরাবুল, কাইজার আহমেদরা।
এরপরই ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে ধর্মতলার সভা থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন আইএসএফ বিধায়ক নওশদ সিদ্দিকি। আরাবুলদের গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। দাবি না মেটা পর্যন্ত ধর্মতলা অবরোধের ডাক দেয় আইএসএফ। সেই অবরোধ ঘিরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয় কলকাতার ধর্মতলায়।