ফের উত্তপ্ত ভাঙড়। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ওয়াজ মেহফিলকে ঘিরে জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাঁধল ভাঙড়ের ভোজেরহাটে। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় আব্বাস অনুগামীদের। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ধর্মীয় সমাবেশ ঘিরে এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিশ।
রবিবার ভোজেরহাটে ওয়াজ মেহফিল বা ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF)। প্রসঙ্গত, ভাঙড়ের বিধায়ক আব্বাসের ভাই নওশাদ। কিন্তু আব্বাস অনুগামীদের দাবি, সেই সমাবেশে যোগ দিতে বাধা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য় করে ইটবৃষ্টি করে আইএসএফ সমর্থকরা। আব্বাসের গাড়িও আটকানো হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ করে ভিড় হটিয়ে দেয়।
এরপর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ করে আব্বাস অনুগামী-আইএসএফ সমর্থকরা। পুলিশের অভিযোগ, আব্বাস অনুগামীরা লাঠি-অস্ত্র নিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। প্রত্যাঘাত করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ইটের ঘায়ে এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন ভগবানপুরে বিজেপি নেতা খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল
পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে উন্মত্ত জনতাকে হটিয়ে দেয়। পাল্টা ইটবৃষ্টি করতে থাকে আব্বাস অনুগামীরা। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দক্ষিণ ২৪ পরগনা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। অবরোধ উঠে যান চলাচল শুরু হয়েছে বাসন্তী হাইওয়েতে। এই ঘটনায় পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আব্বাস। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত ভাবে ধর্মীয় সমাবেশ ভণ্ডুল এবং তাঁকে ও তাঁর অনুগামীদের আটকানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন