Police raid in Suvendu Adhikari's house: লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে ভোট রয়েছে। অধিকারী গড় বলে পরিচিত কাঁথি এবং তমলুকে ভোটগ্রহণ রয়েছে। তার আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের বাড়িতে হানা দিল পুলিশ। যা ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়েছে। পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, এক দুষ্কৃতীর সন্ধানে শুভেন্দুর ভাড়াবাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও বিরোধী দলনেতা গোটা ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ।
এই ঘটনায় শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দেগেছেন। বলেছেন, এই নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন। পাশাপাশি পুলিশের উপরেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পাশাপাশি, পুলিশি হানার ঘটনায় বুধবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও দায়ের করলেন শুভেন্দু।
ঠিক কী হয়েছে?
মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর কোলাঘাটের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, প্রায় ৭০-৮০ জন পুলিশকর্মী ওই বাড়ি ঘিরে তল্লাশি করেন। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, এক দুষ্কৃতীর খোঁজে তারা সেখানে গিয়েছিল। অন্য দিকে, এই পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি ছেড়ে কোলাঘাট থানায় চলে যান শুভেন্দু।
আরও পড়ুন Mamata Banerjee: কবে সন্দেশখালি যাবেন মমতা? ‘কন্ডিশন’ জানিয়ে দিনক্ষণ বলে দিলেন তৃণমূলনেত্রী
থানায় গিয়ে কোনও পুলিশ আধিকারিকের দেখা পাননি বলে দাবি তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রক্ষাকবচ আছে তাঁর। পুলিশ কোনও রকম কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না। শুভেন্দুর অভিযোগ, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেছেন, 'ভাইপোর নির্দেশে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার আমি।' পুলিশি হানার ঘটনার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বলেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘বিবরণ দিয়েছি গোটা ঘটনার।’’