তাজ্জব ব্যাপার! হঠাৎ রাতে পুলিশ হানা দিতেই হূলস্থূল। ততক্ষণে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পলাতক বাড়িমালিক। পরে তাঁর বাড়িতে ঢুকতেই চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড় পুলিশকর্মীদের। লোহার খাঁচার গেট খুলতেই যারা বেরিয়ে এল, তারা কীভাবে ওখানে পৌঁছলো তা নিয়ে ধন্দ বাড়ছে। বাড়িমালিক জিয়াউল হক খান কোনও আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত? তা জানা না গেলেও রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এই ঘটনায় চর্চা বাড়ছে।
Advertisment
বাড়ির মধ্যেই লুকোনো ছিল একটি লোহার খাঁচা। সেই খাঁচাতেই ছিল একটি ময়ূর ও বাজপাখি। জয়নগর ২ নং ব্লকের বকুলতলা থানা এলাকার ওই বাড়িতে কিছু একটা লুকিয়ে রাখার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে যায় পুলিশ।
সেই মতো বৃহস্পতিবার রাতে বাইশহাটা পঞ্চায়েতের পাতপুকুর এলাকায় জিয়াউল হক খানের বাড়িতে হানা দেয় বকুলতলা থানার পুলিশ। এদিকে, পুলিশ দেখেই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায় জিয়াউল হক খান। পরে তাঁর বাড়িতে ঢোকে পুলিশ। ঘরে ঢুকতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের।
ঘরে লুকোনো একটি লোহার খাঁচার মধ্যেই ছিল একটি ময়ূর ও বাজপাখি। এরপরেই পুলিশকর্মীরা খবর দেন বনদফতরে। ময়ূর ও বাজপাখিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তবে কোন উদ্দেশ্যে বাড়ির ভিতরের খাঁচায় ওই ময়ূর-বাজপাখিটিকে আটকে রাখা হয়েছিল তা স্পষ্ট হয়নি। পাশাপাশি জিয়াউল হক খানের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।