সুকান্তর পর এবার শুভেন্দু। গতকাল হাওড়ায় যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার কাঁথির বাড়ি থেকে ময়না হয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর পথ আটকায় পুলিশ। তমলুকের রাধামণিতে শুভেন্দুর কনভয় আটকায় পুলিশ। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তুমল বচসা বিজেপি নেতার। গাড়িতে বসেই দলের রাজ্য সভাপতিকে ফোন শুভেন্দুর। নালিশ মুখ্যসচিব-রাজ্যপালকেও। শেষমেশ প্রায় ২ ঘণ্টা পর শুভেন্দুর কনভয় ছেড়ে দেয় পুলিশ। কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়ায় না যেতে অনুরোধ করে আগেই চিঠি পাঠিয়েছিল কাঁথি থানা। তবে এদিন তিনি কোলাঘাটের দিকে যাবেন বললেও পুলিশ ছিল নাছোড়বান্দা। রাধামণিতে বিরোধী দলনেতার কনভয় আটকে দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুভেন্দুর সঙ্গে তর্কাতর্কি বেঁধে যায় পুলিশকর্মীদের। অগণতান্ত্রিকভাবে পুলিশ তাঁকে আটকেছে বলে সরব হন শুভেন্দু। মুখ্যসিচব এইচ কে দ্বিবেদীকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। এমনকী চিঠির সেই কপি তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও পাঠিয়েছেন।
পরে টুইটে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তুলোধনা করেছেন রাজ্য পুলিশকে। টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, ''তমলুকের রাধামণিতে রাজ্য পুলিশ বেআইনিভাবে আমাকে আটকেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কি কারফিউ জারি হয়েছে নাকি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে? দুপুরের খাবার খেয়ে কোলাঘাটের দিকে এগোচ্ছি। এটা কীভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে?''
আরও পড়ুন- জোরাজুরি নয়, শুভেন্দুর হাওড়া-যাত্রা আটকাতে ‘দারুণ’ উপায় বের করল পুলিশ
উল্লেখ্য, পয়গম্বর নিয়ে করা মন্তব্যের আঁচে তপ্ত হাওড়া। কলকাতা লাগোয়া এই জেলার বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার তাণ্ডব চলেছে। জায়গায়-জায়গায় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির পার্টি অফিস। শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত সেই দলীয় কার্যালয়গুলি দেখতে যাচ্ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শেষমেশ তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীও জানিয়েছিলেন তিনিও হাওড়ায় যেতে চান।
পরে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে হাওড়ায় না যাওয়ার অনুরোধ করে পুলিশ। ‘হাওড়ায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে, দয়া করে সেখানে যাবেন না’, চিঠিতে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ককে আবেদন জানায় কাঁথি থানার পুলিশ। এদিকে, আজ ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে কলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দিতেই তমলুকের রাধামণি এলাকায় তাঁর কনভয় আটকায় পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী জড়ো হয়ে যায় শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের সামনে।