উত্তাল যাদবপুর। এসবের মধ্যেই গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সেনা পোশাকে ২৫-৩০ জন ঢুকে পড়েছিলেন। যা নিয়ে একপ্রশ্থ হইচই হয়েছিল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই যায়দবপুর থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। এবার তলব করা হচ্ছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ-কেও নোটিস দেবে লালবাজার।
Advertisment
গত বুধবার বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে দেখা যায় সার বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সেনা উর্দিধারীরা। কারা এঁরা- ভারতীয় সেনার কর্মী? না কি আধাসেনা? কৌতুহল তৈরি হয়। এরপরই পুলিশের কাছেও খবর যায়। তারপরই বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে পুলিশ। যাদবপুর থানার এক সাব ইন্সপেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা করা হয়।
যাদবপুর সূত্রে খবর, গত বুধবার বিকেল ৪টে ২০ মিনিটে কাজি সাদেক হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল সেনার পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। এদের মাথায় লাল টুপিতে লেখা ছিল 'ভারতীয় সেনা'। জলপাই রঙেক পোশাকে ভারতীয় সেনার প্রতীক ছিল। জানা যায়, ওই দলটি 'এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি' নামে একটি সংস্থার। কাজি সাদেক হোসেন ওই সংস্থার সাধারণ সচিব।
পুলিশের তরফে 'এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি'র সাধারণ সচিব কাজি সাদেক হোসেনকে ইতিমধ্যেই এই মামলায় ডাকা হয়েছে। ভারতীয় সেনার নাম এবং প্রতীক অ-পব্যবহার করার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সেনা না হয়েও কেন সেনার পোশাকে যাদবপুরে আনা হয়েছে এই ২৫-৩০ জনকে? সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কাজি সাদেক হোসেন জানিয়েছিলেন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিং ঠেকাতে কাজ চলছে তাদের। যাদবপুর দিয়েই তাদের শুরু। এরপর তাঁদের সংগঠন অন্যান্য কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েও যাবেন বলে দাবি ছিল তাঁর। তবে এই 'এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি' সংগঠনটি কাদের অনুমোদিত? এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তোর কাজি দিতে পারেননি।