ফের উত্তপ্ত খেজুরি। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ধুন্ধুমার-কাণ্ড। সংঘর্ষে জখম ২ জনের মৃত্যুতে গোটা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় টহলদারি পুলিশের। এলাকার দখল ঘিরেই সংঘর্ষে জড়ায় দু'পক্ষ, এমনই দাবি স্থানীয়দের একাংশের। সংঘর্ষে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি ও তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে খেজুরি ২ নং ব্লকের পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি ১৯৫ নং বুথে বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এলাকার দখল কাদের হাতে থাকবে তা নিয়েই সংঘর্ষ বলে জানা গিয়েছে। দু'পক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুরুতর জখম হন। গতকাল রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষে দু'জনের মৃত্যুর খবর গ্রামে এসে পৌঁছতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশও নতুন করে গন্ডগোল এড়াতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়। পশ্চিম ভাঙ্গনবাড়ি এলাকা জুড়ে শুরু হয় পুলিশি টহলদারি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী যায় এলাকায়।
আরও পড়ুন- বিধিনিষেধে বিপাকে উত্তরের পর্যটন, পাহাড় ছাড়ছেন পর্যটকেরা
এদিকে, রাজনৈতিক এই সংঘর্ষে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এলাকার বিজেপি ও তৃণমূলের নেতারা। বিজেপির অভিযোগ, ''গোটা ঘটনার দায় শাসকদলের।'' যদিও গেরুয়া দলের তোলা এই অভিযোগ উড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার তৃণমূল নেতা শ্যামল মিশ্র বলেন, ''আমাদের কোনও কর্মী যুক্ত নয়। বিজেপির চক্রান্তেই সব ঘটনা। এলাকার বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিকের নেতৃত্বে সন্ত্রাস চলছে।''
অন্যদিকে বিজেপি নেতা তাপস দোলুই বলেন, ''শাসকদল নিজেদের জালে নিজেরাই জড়িয়েছে। বোমা-বন্দুকের রাজনীতির ওঁদেরই মানায়। মানুষ আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। সেটা ভুলতে না পেরেই এই সন্ত্রাস কায়েম করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।'' যদিও পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।