Post Poll Violence: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বহু বিজেপি নেতা-কর্মী। সেই আক্রান্তদের নিয়ে এবার রাজভবনে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু পুলিশি বাধায় পৌঁছতে পারলেন না শুভেন্দুরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ রাজভবনের সামনের রাস্তায় পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে যান তাঁরা। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। জমায়তে আটকাতে ব্যারিকেড করে রাখে পুলিশ। সেখানেই আটকায় শুভেন্দুর গাড়ি।
রাজভবনে ঢুকতে না পেরে ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। কেন পুলিশ তাঁদের রাজভবনে ঢুকতে দিচ্ছে না, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি। এই বিষয়ে আদালতে যাওয়ার ভাবনা তাঁদের। শুভেন্দু এদিন বলেন, জরুরি অবস্থার সময়ও এসব হয়নি। বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ফ্যাসিবাদী রূপ’ প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি তাঁর। সন্ধে ৬টা বেজে গেলেও রাজভবনে ঢুকতে পারেননি শুভেন্দু।
এদিন বিকেল চারটেয় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিলেন তাঁদের। রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা। বিজেপির দাবি, ভোট মিটতেই রাজ্যে হিংসার শিকার তাদের নেতা-কর্মীরা। বাদ যাচ্ছেন না পরিবারের মহিলা-শিশুরাও। ঘরছাড়া বহু মানুষ। আক্রান্তদের দেখতে ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবার, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া গিয়েছেন শুভেন্দু। আক্রান্ত ঘরছাড়াদের বিজেপি মধ্য কলকাতায় মাহেশ্বরী ভবনে রাখার বন্দোবস্তও করেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের নিরাপত্তা চেয়ে তাঁর আইনজীবী সোমবার আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে আরও কয়েক দিন রাজ্যে রেখে দেওয়া হয়, সেই আবেদনও করেছিলেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন NEET Scam: NEET-UG দুর্নীতির অভিযোগ, AIDSO-র প্রবল প্রতিবাদে ধুন্ধুমার কাণ্ড করুণাময়ীতে!
গত বুধবার হাইকোর্ট জানায়, আগামী ২১ জুন পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে তাও জানতে চেয়েছে আদালত। ১৪ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি আগামী ১৮ জুন।