Post poll violence in Purba Bardhaman: ভোট পরবর্তী হিংসার দাবানল পূর্ব বর্ধমানেও! দিকে দিকে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলা, ভাঙচুর, আগুন, কর্মীদের মারধর। বর্ধমান শহরেও বিজেপির জেলা কার্যালয় ইট, লাঠি নিয়ে এসে হামলা দুষ্কৃতীদের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশাল পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর ছড়ায়। মূলত বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী দিলীপ ঘোষের হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েই পদ ছেড়েছেন বলে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। যদিও অভিজিৎ নিজে পরে বিষয়টি খোলসা করেন। উল্টে তিনি দায় চাপান তৃণমূলের উপরেই।
পূর্ব বর্ধমানে তুলকালাম। দিকে দিকে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলা-ভাঙচুর। বর্ধমান শহর ছাড়াও গলসি, রায়না, পূর্বস্থলী, ভাতারের একাধিক এলাকায় বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বিজেপির। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসকদল।
বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে এবারের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ হেরে গিয়েছেন। গতবার এই কেন্দ্রটি বিজেপির দখলেই ছিল। হারের পর দিলীপ ঘোষ 'কাঠিবাজি' বাজি তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন। তা নিয়েই তুমুল বিতর্ক বেধে যায়। দিলীপ ঘোষের সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালের চেয়েও এবারের নির্বাচনে তারা বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিংহভাগ বুথে এজেন্ট দিয়েছিলেন। এই হারের ময়নাতদন্ত হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতির পদ থেকে অভিজিৎ তা ইস্তফা দিয়েছেন বলে খবর রটে যায়। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থীর হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন বলে খবর চাউর হয়। তাঁর নামে একটি চিঠিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিজিৎ তা নিজে বিষয়টিকে তৃণমূলের চক্রান্ত বলেই মন্তব্য করেছেন। তিনি এপ্রসঙ্গে বলেন, "এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো খবর। এমন কোনও পদত্যাগ পত্র আমি লিখিনি বা দিইনি। আমার সই জাল করে এটা করেছে। আমাদের কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতেই এটা তৃণমূলের পরিকল্পনা হতে পারে। দল হারলেও কর্মীদের মনোবল ঠিকঠাক আছে। আমি দলের কর্মীদের পাশে আছি।"
আরও পড়ুন- Digha: এখবরে ভ্রমণপিপাসুদের মনে সুনামি বইবে! মাত্র ৪৫ টাকায় হাওড়া থেকে দিঘা, কীভাবে? জানুন ঝটপট
দলীয় কার্যায় গুলিতে হামলার দায় তৃণমূলের উপরেই চাপিয়েছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ তা বলেন, "বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির উপর হামলা হচ্ছে। ভাতারে পানীয় জলের লাইন পর্যন্ত কেটে দিয়েছে তৃণমূল। আমাদের প্রশাসনের উপর আস্থা আছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন- Travel: কলকাতার কাছেই ফাটাফাটি ৫ নতুন সমুদ্র সৈকত আবিষ্কার! বাংলার পর্যটনের মুকুটে নয়া পালক!
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, "গোটা বর্ধমান জেলায় এখন আর বিজেপি বলে কিছু নেই। আমাদের জেলা থেকে ওরা প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ওদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। পুলিশের কাছে রিপোর্ট পেয়েছি। দিলীপ ঘোষ বলেছেন কাঠিবাজি হচ্ছে। আমার মনে হয় নিজেদের মধ্যেই ওদের এই কেন্দল। বর্ধমান জেলায় এই অশান্তি আমরা হতে দেব না। ওরা নিজেদের মধ্যে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করছে। পুলিশ বিষয়টা দেখছে।"