ফল ঘোষণার পর থেকে বাংলায় হিংসা, খুনোখুনি অব্যাহত। সোমবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির বিজেপির দিকে।
তৃণমূলের অভিযোগ, ৫৫ বছরের ওই পঞ্চায়েত সদস্য শ্রীনিবাস ঘোষকে গতকাল রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের করে কুপিয়ে খুন করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর একটি পা বাদ যায়। এই সময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন আরও ২ তৃণমূল কর্মী। তাঁদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাতেই ঘটনাস্থলে যায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে। জানা গিয়েছে, যাদের আটক করা হয়েছে তারা বিজেপি কর্মী। যদিও বিজেপি হামলা ও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ১১ জন হিংসার বলি হয়েছেন। বিজেপি, তৃণমূল এবং সিপিএমের কর্মীরা রয়েছেন মৃতদের তালিকায়। এই লাগাতার হিংসার ঘটনা বাড়ায় নবান্নের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণের দিনেই দেশজুড়ে ধরনা কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি