মেয়ে দেখতে এসে পাত্রীর মাকে নিয়ে পালালো হবু জামাই। ২৪ ঊর্ধ্ব জামাই আর ৩৮ বছর বয়সী শাশুড়ির এই পালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে গাজোল থানার করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের ইচাহার গ্রামে। এদিকে নিজের স্ত্রীকে ফিরে পেতে অভিযুক্ত পাত্র ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্তমান স্বামী আনন্দ সাউরিয়া। তাঁর বক্তব্য, 'বাড়িতে আমার বিবাহযোগ্য মেয়ে রয়েছে। মেয়েকে দেখতে এসেই ওই পাত্র আমার স্ত্রীর সঙ্গেই মুহূর্তের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করে ফেলে। এরপরই রাতের অন্ধকারে ওরা দু'জন মিলে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে তিন মেয়ে রয়েছে। কি করে এখন ওদের সামলায় কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই পুলিশের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি আমার স্ত্রীকে যেভাবে সম্ভব উদ্ধার করা হোক।'
Advertisment
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাজোলের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের ইচাহার গ্রামে বাসিন্দা আনন্দ সাউড়িয়া পেশায় ভিন রাজ্যের দিনমজুর। তিন মেয়ে এবং স্ত্রী সরলা সাউরিয়াকে নিয়ে বাস তাঁর। পাত্রের নাম অতুল বর্মন। তার বাড়ি করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিপ্লবীপাড়া এলাকায়। ঘটনাটি ঘটে ৩১ মার্চ। তারপরে ১ এপ্রিল গাজোল থানায় এই ঘটনার বিষয়ে ওই গৃহবধুর স্বামী আনন্দবাবু হবু জামাইয়ের বিরুদ্ধে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশকে অভিযোগে দিনমজুর আনন্দ সাউড়িয়া বলেছন, 'কিছুদিন আগেইদিল্লি থেকে কাজ করে বাড়ি ফিরেছি। বড় মেয়ের জন্য পাত্র দেখার বিষয়টি নিয়েই তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। এরপর এদিন দুপুরে পাত্র অতুল বর্মন বাড়িতে আসে বড় মেয়েকে দেখতে। কিন্তু এরই মধ্যে যে আমার স্ত্রীর সঙ্গে হবু জামাইয়ের সম্পর্ক হয়ে যায়। যা আমি বুঝতেই পারেনি। বাড়িতে এদিন পাত্র এবং তার পরিবারের দুই আত্মীয় থাকতে চেয়েছিল। সহজ সরল মনে তাদের থাকতে দিয়েছিলাম। গভীর রাতেই পরিকল্পনা করে হবু জামাই আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি স্ত্রী বাড়িতে নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারি হবু জামাইও নেই। তারপর এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়। অবশেষে কোথাও কোন হদিস না মেলায় স্ত্রীর ছবি হাতে গাজোল থানার দারস্থ হই।'
পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিশ।