পরিবেশ দূষণ রুখতে ব্যর্থ বিশ্বভারতী। শুধু তাই নয়, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নিয়মভঙ্গ করে পরিবেশের যে ক্ষতিসাধন হয়েছে তার জেরে বিশ্বভারতীকে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক জরিমানা ও শো কজ নোটিস পাঠাল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর রেজিস্টারের কাছে পাঠানো দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের চিঠিতে লেখা হয়েছে যে মেলায় বেশ কিছু স্টলে ওভেন থাকলেও সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রক কোনও সরঞ্জাম ছিল না। এমনকি পর্যাপ্ত বায়ো টয়লেট ও ছিল না ২৪ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলা ঐতিহ্যবাহী এই পৌষমেলায়।
নির্দিষ্ট দিনক্ষণ না জানালেও অবিলম্বে বিশ্বভারতীকে বিষয়টি নিয়ে জবাব করতে বলা হয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের তরফে।
জানা গিয়েছে বায়ু দূষণ সৃষ্টি না করে কঠিন ও তরল বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বীরভূম জেলা প্রশাসন ও বোলপুর পৌরসভার সহযোগিতায় একটি "পরিবেশ বান্ধব" পদ্ধতিতে বার্ষিক এই মেলাটি পরিচালনার জন্য ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের তরফে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের সম্পাদক রাজেশ কুমারের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর রাজ্য প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠককালে পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে কি দিলীপ ঘোষ? মুখ খুললেন নিজেই
সেই মতোই পৌষমেলার আয়োজন করার সময় এনজিটির দেওয়া নির্দেশিকা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। দূষণ নিয়ন্ত্রক কমিটির সদস্য তথা পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত বলেন, "বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পর্ষদের বেশ কয়েকটি মূল সুপারিশ মানেননি। মেলায় একাধিক অসংগতি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।" তবে বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য শো কজ নোটিসের বিষয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে সুখবর! ফের চাঁদের দেশে ভারত, এবার চন্দ্রযান ৩
প্রসঙ্গত, ১৮৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পৌষমেলা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৫১ সাল থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এই মেলার আয়োজন করে আসছে।
Read the full story in English