প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে বাংলা আবাস যোজনা করা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংঘাত জারি। তার মধ্যেই মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অনুদানের টাকা মৃত হারাধন দাসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বদলে জমা পড়ল জীবিত হারাধন দাসের অ্যাকাউন্টে। যা নিয়েই দুই দাস পরিবারের মধ্যে এখন বিদ্রোহ চরমে উঠেছে।
সেই বিদ্রোহ থামাতে এখন হিমশিম অবস্থা পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের শিমুলিয়া ২ পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠিয়ে টাকা তোলা আটকে রেখেছেন। পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত, জেলা থেকে সংশোধনের পরই মৃত হারাধন দাসের পরিবারকে টাকা দেওয়া হবে। তবে কবে সেটা হবে তা নিয়ে এখন সকলেই অন্ধকারে।
প্রশাসন ও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কথায় জানা গিয়েছে, দুই হারাধন দাসের পরিবারই মঙ্গলকোট ব্লকের সিঙ্গত গ্রামের দাসপাড়ার বসিন্দা। পরিবারের বর্ষীয়ান সদস্য হওয়ায় হারধন নামের দাস পরিবারের দুই সদস্যই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। তালিকা বের হলে দেখা যায় দুই হারাধন দাসের নামই তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যেই গত জানুয়ারি মাসে এক হারাধন দাস বার্ধ্যক্যজনিত রোগে মারা যান।
দিন কয়েক আগে জীবিত হারাধন দাসের ব্যাঙ্ক আ্যকাউন্টে সরকারি আবাস যোজনায় অনুদানের প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢোকে। আর তা জানাজানি হতেই মৃত ও জীবিত হারাধন দাসের পরিবারে মধ্যে গোন্ডগোল বেঁধে যায় । টাকার দাবি করে দুই পরিবারই কার্যত বিদ্রোহ করে বসে।
মৃত হারাধন দাসের ছেলে দীনবন্ধু দাস বলেন, "সম্প্রতি পঞ্চায়েতে গিয়েছিলাম অনুদানের টাকার বিষয়ে খবরা-খবর নিতে। তখনই পঞ্চায়েত থেকে আমাকে বলা হয় আমার বাবার ব্যাঙ্কের আ্যকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে ৷ এরপর ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি আমাদের প্রতিবেশী হারাধন দাসের আ্যকাউন্টে ওই টাকা পড়েছে। যদিও সেটা আমার বাবার প্রাপ্য অনুদানের টাকা ।"
এর পর টাকা পেতে মৃত হারাধন দাসের ছেলেরা জীবিত হারাধন দাসের দ্বারস্থ হন। বাবার প্রাপ্য টাকা পাওয়ার জন্য জীবিত হারাাধন দাসের কাছে গিয়ে কাকুতিমিনতি করেন। কিন্তু জীবিত হারাধন দাস ও তাঁর ছেলেরা দাবি করেন তাঁরাই ওই টাকার আসল হকদার। ওই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে মৃত হারাধন দাসের