অনবদ্য! মোটের উপর এই শিশুর যত তারিফ করা যায় ততই যেন কম হয়। অবিস্মরণীয় এই কীর্তির জেরেই বাংলার মুখ উজ্বল করেছে একরত্তি। খুদে কন্যার এই অভাবনীয় কৃতিত্বে গোটা পরিবার তো বটেই প্রতিবেশীরাও গর্ব বোধ করছেন। এই বয়সেই তাকলাগানো সাফল্য ঝুলিতে পুরে প্রত্যেককে মুগ্ধ করে দিয়েছে প্রতিভাবান এই খুদে কন্যা। কী করেছে সে? যা নিয়ে এত আলোচনা…পডুন বিশেষ এই প্রতিবেদনে।
খুদে-কন্যার অভূতপূর্ব এই কীর্তি নিয়েই আলোচনা সর্বত্র…
মাত্র ২ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের মধ্যে এক থেকে পনেরোর ঘরের নামতা ঝরঝর করে টানা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রের্কডসে নাম তুলেছে চার বছরের এক খুদে কন্যা। শুধু তাই নয়, তার মুখে সংস্কৃত শ্লোকের স্পষ্ট উচ্চারণ মুগ্ধ করেছে নেটিজনদেরও। নির্দিষ্ট সময়ে একটানা নামতা বলার রেকর্ড করেছে ওই খুদে। যার জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড থেকে মিলেছে শিরোপাও। মালদহের চাঁচল সদরের এই প্রতিভাবাণ কন্যার নাম প্রজ্ঞাশ্রী মজুমদার। তার এই সাফল্যে খুশি পরিবার সহ প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন- ৩ টাকাতেই কেল্লাফতে, টপাটপ মুখে উঠছে সুস্বাদু লালমোহন-গুলাবজামুন! কোথায়?
চাঁচোল সদরের ভারতী নগরের বাসিন্দা প্রজ্ঞাশ্রী মুজুমদার। প্রজ্ঞাশ্রীর বাবা প্রাণশংকর মজুমদার বিহারের পাটনায় একটি প্রাইভেট সংস্থার কর্মী। মা ডঃ পৌলমী রায় চাঁচল কলেজের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপিকা। একেবারে ছোট থেকেই প্রজ্ঞাশ্রী যা শুনতো বা দেখতো তা মাথায় গেঁথে যেত তার। বিষয়টি নজর এড়ায়নি খুদের পরিবারের সদস্যদের। দেড় বছর বয়স থেকেই মুখস্ত বিদ্যার প্রতি এই খুদের অসামান্য দক্ষতা। খুদে কন্যার বাংলা নামতার প্রতি অসাধারণ জ্ঞান। ২ থেকে ২০ ঘরের নামতা তার ঠোঁটস্থ। তাই মেয়ের এই প্রতিভা নজর এড়ায়নি মায়ের।
চলতি বছরের আগস্ট মাসের ১১ তারিখে মেয়ের এই প্রতিভার ভিডিও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস পাঠান পৌলমী দেবী। যেখানে মাত্র দুই মিনিট ১৬ সেকেন্ডের মধ্যে ২ থেকে ১৫ ঘরের নামতা নির্ভুল উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে একটানা বলেছে প্রজ্ঞাশ্রী। এরপর ১৭ আগস্ট দফতর থেকে প্রজ্ঞাশ্রীর সেই প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সংস্থার তরফে শংসাপত্র, মেডেল-সহ বিভিন্ন উপহার প্রজ্ঞাশ্রীর বাড়ির ঠিকানায় আসে। যে পুরস্কার বাড়িতে আসতেই একরত্তি মেয়ের আনন্দ যেন আর ধরছে না।
খুশি খুদে কন্যার মা ও মাসি সহ পরিবার প্রতিবেশীরা। প্রজ্ঞাশ্রীর মা এবং মাসির তত্ত্বাবধানেই তার শিক্ষা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখনও স্কুলে ভর্তি করেননি মেয়েকে। এত তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ না করে মেয়েকে খোলা মনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন অধ্যাপিকা মা। প্রজ্ঞাশ্রীর মাসি পূর্ণিমা রায় জানান, ছোট থেকে প্রজ্ঞাশ্রীর স্মৃতি শক্তি যথেষ্ট বেশি। তাই পরিবারের সকলে তার প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করেছেন।