তৃণমূলের সাংসদ তথা অভিনেতা-প্রযোজক দেবের নতুন ছবি প্রজাপতি নন্দনে জায়গা না পাওয়া নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। রাজনীতিও চলছে এই বিষয়ে। তৃণমূল-বিজেপি তরজা চরমে। তার অন্যতম কারণ, এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর মিঠুনের ছবি নন্দনে না দেখানো নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেছেন, বিজেপি করেন বলেই মিঠুনের ছবি নন্দনে জায়গা পায়নি। মিঠুন বিজেপি নেতা বলেই নন্দনে প্রজাপতি মুক্তি পায়নি। বাংলায় তৃণমূল নমা করলে সিনেমায় সুযোগ পাবেন না। তৃণমূল না করলে সিনেমা রিলিজের হল পাওয়া যায় না। বিস্ফোরক দাবি করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, বড়দিনের প্রাক্কালে শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘প্রজাপতি’। দেব-মিঠুন জুটির বাবা-ছেলের সমীকরণ দেখে প্রেক্ষাগৃহ থেকে আবেগঘন মন নিয়ে বেরিয়েছেন দর্শকরা। পর্দায় দুই সুপারস্টারকে একসঙ্গে দেখে হলজুড়ে ফেটে পড়েছে হাততালিতে। দর্শকরাও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সিনেসমালোচকরাও মার্কসিটে ভাল নম্বর বসিয়েছেন। কিন্তু শহরে সিনেপ্রেমিকদের তীর্থক্ষেত্র নন্দনেই কিনা স্থান পেল না ‘প্রজাপতি’। দেব কিন্তু ইতিমধ্যেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন নন্দনে-ই ব্রাত্য দেবের সিনেমা! ঠাঁই পেল না ‘প্রজাপতি’, মুখ খুললেন দেব
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করেছেন দেব। নন্দনে স্লট না পাওয়া নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বললেও বাঁকাভাবে খানিক ব্যঙ্গই করেছেন সাংসদ-অভিনেতা। সেখানে লেখা- “এবার তোমাকে মিস করব নন্দন। কোনও ব্য়াপার না। আমাদের আবার দেখা হবে। গল্প শেষ।” সেই লেখায় এক ক্যাপশনও জুড়েছেন দেব। লিখেছেন, “শুধুমাত্র লেজেন্ডরাই এর অর্থ বুঝতে পারবেন।”
উল্লেখ্য, নন্দনে স্লট দেওয়ার একটা পদ্ধতি রয়েছে। সাধারণত যে সব সিনেমা চলছে, সেগুলো অন্তত ২ সপ্তাহ করে রাখা হয়। তারপর নতুন সিনেমাকে জায়গা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে নন্দনে ‘দোস্তজি’, ‘হামি ২’-র পাশাপাশি স্লট পেয়েছে।