লকডাউনে স্তব্ধ জনজীবনের মাঝে জ্বলে উঠল বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়। প্রায় ১৮ ঘন্টা ধরে চলল আগুনের এই তান্ডবলীলা। তবে পরবর্তীতে পুলিশ ও প্রশাসনের যৌথ তৎপরতায় আগুন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে, এমনটাই জানিয়েছে সেখানকার বন আধিকারিকরা।
কিন্তু এমন ঘন বনে কীভাবে লাগল আগুন? ছাতনা থানার অফিসার-ইন-চার্জ বলেন, "মনে করা হচ্ছে যে এই আগুন লাগিয়েছে মানুষেরাই। তবে আমরা এখনও নিশ্চিত নই। বুধবার বিকেল ৬টা নাগাদ বনকর্মী, পুলিশ এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত থেকেই ভয়াল আগুনে পুড়েছে শুশুনিয়া পাহাড়ের প্রাগৈতিহাসিক এই জঙ্গল।
পুড়ছে শুশুনিয়া। ছবি- সঙ্গীতা মিত্র
শুশুনিয়া পাহাড়ের ফরেস্ট রেঞ্জার এশা বোস দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "এখানকার পাহাড়গুলি খুবই খাঁড়া। মঙ্গলবার রাতে সেখানে পৌঁছতেই পারেননি বনকর্মীরা।" এই ভূখণ্ডে বেশিরভাগই শাল ও সেগুন গাছের জঙ্গল। যা আদতে শুকনো। পুলিশের অনুমান জঙ্গলে কেউ বিড়ি ফেলে দিয়ে গেলে সেখান থেকেও শুকনো গাছ, পাতা থেকে ধরতে পারে এই আগুন। যদিও তাঁদেরই একাংশের অভিমত এই সময়টাতে দাবানল দেখা যায় এই জঙ্গলে। অনেকসময় শুকনো পাতা ও ডালের ঘষায় আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
ফরেস্ট রেঞ্জার ইশা বোস জানান মঙ্গলবার রাতে দমকলের গাড়ি আসলেও পাহাড়ের ঢাল এতোটাই খাঁড়া, উপরে কোনওভাবেই নিয়ে যাওয়া যায়নি গাড়িটিকে। এদিকে ছিল না অন্যকোনও রাস্তাও। বুধবার সকালেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় ছাতনা বনকর্মীরা, শিউলিবোনা, পাহাড়বেড়িয়া এবং শুশুনিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের যৌথ তৎপরতায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে বিধ্বংসী আগুন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন