Advertisment

সিআইএসএফ বিতর্কের মাঝেই বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক হওয়ার পর এই প্রথম বিশ্বভারতীতে পা রাখলেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি।

বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শক হওয়ার পর এই প্রথম বিশ্বভারতীতে পা রাখলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবছর বিশ্বভারতীর আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী মোদী সমাবর্তনে যোগ দিতে পারেননি।

Advertisment

সমাবর্তন উপলক্ষ্যে শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে পড়ুয়াদের ভিড়। প্রথা অনুযায়ী এদিনই ছাত্র ছাত্রীদের হাতে শংসাপত্র ও ছাতিম পাতা তুলে দেওয়া হয়। রীতি অনুযায়ী তিনি বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ পরিদর্শকের পদে রয়েছেন। এর আগে রাষ্ট্রপতির আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্বভারতীর প্রাঙ্গন রঙ-বেরঙের আলপনা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়।

আরও পড়ুন:  অযোধ্যা রায়ের পর নয়া দায়িত্বে শাহ, সফল হলেই মুকুটে নয়া পালক

২০১৮ সালের ২৫ মে বিশ্বভারতীতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চলতি বছর ১৬ আগস্ট বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনের শ্যামলী গৃহের উদ্বোধনে বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু। আর এবার রাষ্ট্রপতিকে পেয়ে খুশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়ারা। তবে সিআইএসএফ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতির বিশ্বভারতী সফরওবিতর্কহীন হল না।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা শিবসেনা সাংসদদের

সুরক্ষার স্বার্থে স্থায়ী ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ নিয়োগের দাবি জানান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই আবেদনের একটি প্রতিলিপি প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও পাঠানো হয় বলে জানা যায়। চিঠিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জানান, ‘‘বর্তমানে যেসব বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করেন, তাঁরা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের প্রতি অনুগত। বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা আধিকারিকের নির্দেশ মান্য করে না। কাজে গাফিলতির কারণে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের কাজ থেকে বাদ দেওয়া হলে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের হয়ে কথা বলেন। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর সঠিক পরিচালনা ও শান্তি বজায় রাখতে সিআইএসএফ বাহিনী নিয়োগ করা হোক’’।

এই চিঠির প্রেক্ষিতেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিআইএসএফ মোতায়েনে ছাড়পত্র দিয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতীর নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে সিআইএসএফ। এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপাচার্যের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। তাদের দাবি বিশ্বভারতীর মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে বন্দুকধারী সিআইএসএফ বাহিনীকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। রাষ্ট্রপতি দৃষ্টি আকর্ষণে পোস্টার দিয়ে বিরোধীতা করা হয়েছে। রবিবার প্রতিবাদ চিঠির অংশবিশেষ সোশ্যাল সাইটে, পড়ুয়া ও শিক্ষকদের একাংশের কাছে ছড়িয়ে পড়ে।

visva bharati
Advertisment