প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটল। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের কথা মতো সমাবর্তনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট আটকানোর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে ছাত্রদের তরফ থেকে চিঠি দেওয়ার পর সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল। একই সঙ্গে প্রত্যাহৃত হল ১৩৫ ঘণ্টার অনশন।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জয় দেখছেন অনেকেই। মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদের সাংবাদিক সম্মেলনের পর, বুধবার ছুটির দিনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক এবং ওইদিন রাতভর উপাচার্যকে ঘেরাওয়ের পরও কর্তৃপক্ষ অনড় ছিলেন তাঁদের সিদ্ধান্তে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সমাবর্তনের সময়ে গেট আটকানোর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ এবং এবং অনশন প্রত্যাহার- এই দুইয়ের আগে কোনও আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হবে না।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সাধারণ সভা ডাকেন ছাত্ররা। সেই সভার পর সাসপেন্ড হওয়া তিন ছাত্র চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, সমাবর্তনের আগের দিন যা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার জন্য লজ্জিত বলেও জানান তাঁরা।
এর পরই অনীত বৈদ্য, আনিসুর হক এবং সায়ন চক্রবর্তী নামের ওই তিন ছাত্রের সাসপেনশন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময়ে ছাত্রদের গেট আটকানোর ঘটনায় জল গড়িয়েছিল বহুদূর। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে সমাবর্তন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অন্যত্র। প্রথমে স্থির হয়েছিল সমাবর্তন হবে রাজ ভবনে, শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয় নন্দনে।
বুধবার সারা রাত ছাত্ররা উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখার পর বৃহস্পতিবার সকালে উপাচার্য বলেছিলেন, “সমাবর্তনের সময়ে গেট আটকানো ভুল কাজ ছিল। প্রেসিডেন্সির ছাত্রছাত্রীরা বহু সময়ে এমন বহু কাজ করেন, যা ঠিক নয়। কিন্তু আমরা সেগুলো ক্ষমা করেদিই। কিন্তু সমাবর্তনের দিন যা হয়েছে, তা মারাত্মক ভুল।“