প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট কাটছে না। নেতাজি জন্মদিবসের ছুটির দিনেও বৈঠকে বসলেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হল না। সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে রইল। শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনরত ছাত্রদের অনশন না তোলা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত বদলাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ছাত্রদের দাবি, আগে শাস্তি প্রত্যাহার হোক, তারপরেই উঠবে অনশন।
এ সমস্যার সূত্রপাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান ঘিরে। ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে সমাবর্তন সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অন্যত্র। প্রথমে স্থির হয়েছিল সমাবর্তন হবে রাজ ভবনে, শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয় নন্দনে। সে সময়েই উপাচার্যকে প্রেসিডেন্সিতে প্রবেশে বাধা দেয় ছাত্ররা। উপাচার্যকে গেট থেকে ফিরে যেতে হয়। ক্ষুব্ধ উপাচার্য জানান, গেট আটকানোয় জড়িত পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হবে। সেই মোতাবেক তিনজনকে সাসপেন্ডও করা হয়।
সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শুরু হয় অনশন। ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এনকোয়ারি কমিটি গঠন করে বিষয়টির যথাযথ তদন্ত করতে হবে এবং সে তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। বুধবার সকালে জরুরি ভিত্তিতে একজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। সে বৈঠকে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন উপাচার্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরাও। ওই বৈঠকে শর্তহীন ভাবে অনশন প্রত্যাহার করে নিতে বলেন উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। অনশন প্রত্যাহার করলে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পর সাধারণ সভা করেন ছাত্ররা। স্থির হয়েছে, শাস্তি প্রত্যাহৃত না হলে অনশন প্রত্যাহার করা হবে না। ফলে সব মিলিয়ে প্রেসিডেন্সিতে ফের ন যযৌ ন তস্থৌ পরিস্থিতি ফিরে এল।