ঘোড়া কেনাবেচার জন্য দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিধায়কদের হোটেলে রাখার ঘটনা দেখা গিয়েছে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, এবং হালের মহারাষ্ট্রেও এই রিসর্ট পলিটিক্স দেখেছে দেশবাসী। কিন্তু বাংলায় এমনটা কোনওদিন হয়নি। কিন্তু হোটেল রাজনীতি এবার বাংলাতেও নিয়ে এল বিজেপি। আগামিকাল, অর্থাৎ সোমবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল বিজেপির বিধায়কদের।
জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবির রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। তাই মুরলীধর সেন লেনের নেতৃত্ব ঝুঁকি না নিয়ে দলীয় বিধায়কদের নিউটাউনের একটি অভিজাত হোটেলে তুলেছেন। আজ রাতটা সেখানেই থাকবেন তাঁরা। আগামিকাল, সোমবার সকালে তাঁরা সেখান থেকে দল বেঁধে বিধানসভা যাবেন। মোট ৬৯ জন বিধায়ককে রাখা হয়েছে বলে খবর। ৭৭ জনের মধ্যে মুকুল রায়-সহ সাত জন আগেই তৃণমূলের ঝান্ডা ধরেছেন। বাকি একজন হলেন সাংসদ অর্জুন-পুত্র পবন সিং। ভাটপাড়ার বিধায়ক এখনও দলত্যাগ না করলেও তাঁকে বাদই রেখেছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কায় ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি। সব ভোট যাতে দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে পড়ে তা নিশ্চতি করতেই বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে এই বেনজির পদক্ষেপ পদ্মশিবিরের। কারণ, আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিধানসভাতে কারচুপির আশঙ্কা করেছেন। তৃণমূল তাদের বিধায়কদের ভাঙাতে পারেন বলে আশঙ্কা। ক্রস ভোটিং হলে এ রাজ্যে দ্রৌপদীর ঝুলিতে কম নম্বর আসবে। তা মাথায় রয়েছে বিজেপির।
আরও পড়ুন ধনকড়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী মার্গারেট আলভা, বিরোধীদের বৈঠকে চূড়ান্ত নাম
দলের তরফ থেকে অবশ্য দাবি, দূর-দূরান্ত থেকে বিশেষত উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বিধায়কদের পক্ষে ঝক্কি। তার পর বিধানসভায় সকালে সময়ে পৌঁছনোও জরুরি। তাই মুশকিল আসান করতেই বিধায়কদের প্রত্যেককে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হোটেলেই দলীয় মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা বিধায়কদের মক ভোটিং করাবেন। তার পর সোমবার সকালে হোটেল থেকে বিধানসভায় একসঙ্গে যাবেন গেরুয়া বিধায়করা।