শেষ রক্ষা হল না। ভোটের ডিউটিতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নদিয়ার স্কুল শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাস। দিন কয়েক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষে শেষমেশ বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই স্কুল শিক্ষককের মৃত্যুর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছে সরকারি কর্মচারীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আইনি পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
মর্মান্তিক! নদিয়ার স্কুল শিক্ষক রেবতী মোহন বিশ্বাস ছিলেন রিজার্ভ প্রিসাইডিং অফিসার। অভিযোগ, ৭ জুলাই প্রশাসনের তরফে তাঁকে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হয়েছিল। করিমপুর ১ নং ব্লকের ১৩৪ নং বুথের নন্দলালপুর এসএসকে-তে তাঁকে ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, বুথে পৌঁছনোর পর থেকেই স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে ক্রমাগত মানসিক চাপ দেয়। রাতভর দফায়-দফায় চলে হুমকি। অভিযোগ, ওই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়নি।
আরও পড়ুন- ‘এটা ভালো লাগছে না, মমতার সঙ্গে কথা বলবই’, মন ভেঙে চুরমার প্রবীণ মন্ত্রীর!
বুথে থাকা রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য দেখেও কার্যত নির্বিকার ছিলেন। এদিকে, ক্রমাগত সেই হুমকি সহ্য করতে না পেরে ভোরের দিকে বুথের মধ্যেই সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় রেবতী মোহন বিশ্বাস নামে ওই স্কুল শিক্ষকের, এমনই অভিযোগ পরিবারের। প্রথমটায় তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি বুথের বাকি ভোটকর্মীরা টের পাননি।
আরও পড়ুন- এ কী কাণ্ড ঘটালেন বিজেপি সমর্থক? গাঁয়ের পঞ্চায়েতে পদ্ম পতাকা উড়তেই…
পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি তাঁরা প্রশসানিক কর্তাদের তা জানান। অভিযোগ, এই খবর পেয়েও সময়মতো তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বহু টালবাহানার পরে হাসপাতালে ভর্তি করলেও অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে রেবতী মোহন বিশ্বাসের। শেষমেশ গতকাল অর্থাৎ, ১২ জুলাই রাত সাড়ে ৯টা নাগদ তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে, ভোটের কাজে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের এই মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তিনি বলেন, 'আমরা কমিশনের কাছে যাব, স্মারকলিপি দেব। এই মৃত্যুর জন্য রাজীব সিনহা দায়ী। হাইকোর্টের কথা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ডিউটি করানো হলে এটা ঘটত না। মানসিক চাপের জন্যই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। সময়ে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি।'