/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/10/primary-tet-2024-agitation-goutam-paul.jpg)
২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল।
চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা (নন-ইনক্লুটেড) সল্টলেকের করণাময়ীতে অনশন করছেন। কিন্তু, এই আন্দোলনের আইনি বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর সাফ কথা, 'নিয়মের বাইরে কিছু করা যাবে না। চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এঁদের অংশ নিতে হবে। আন্দোলনকারীরা কেউ প্যানেলভুক্ত হননি। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের দাবি আইনসম্মত নয়।'
এ দিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের নেপথ্যে রয়েছে রাজনৈতিক মদত। একাধিক দলের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই আন্দোলনকে ইন্ধন দিচ্ছেন। কিন্তু পর্ষদ কোনওভাবেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে দাবি করেছেন গৌতমবাবু। তাঁর কথায়, 'প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টেট উত্তীর্ণের সংখ্যায় ১৬ হাজার ১০১ জন। এই আন্দোলনকারীরা ২ বার ইন্টারভিউ দিয়েও প্যানেলভুক্ত হননি। তাঁদের নিয়োগ দিতে হলে ২০১৬ সালের আইন ভাঙতে হবে। কিন্তু, পর্ষদ নিয়ম ভাঙবে না।'
২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন-ইনক্লুটেড চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দুবার ইন্টারভিউ দিয়েও নিয়োগপত্র মেলেনি। নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা অংশ নেবেন না। সরাসরি নিয়োগ দিতে হবে তাঁদের। এই দাবিতে সল্টলেকের রাস্তায় রাতভর অবস্থান করেছেন তাঁরা। সকাল থেকে শুরু করেছে অনশন। গতকাল অর্থাৎ সোমবার আন্দোলনকারীদের চার প্রতিনিধি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি জমা করেন। তবে তাঁদের সেই দাবি মানা হবে না বলে এদিন সাফ জানালেন গৌতম পাল।
২৪ ঘন্টার বেশি সোমবার দুপুর ২টো থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এই চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার সকালেও পর্ষদের দফতরের সামনে বসে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০১৪ সালের বিক্ষোভকারী টেট উত্তীর্ণদের দাবি, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের সঙ্গে তাঁরা অংশ নেবেন না। তাঁদের সরাসরি নিয়োগ করতে হবে। কারণ, পয়েন্ট স্কোরে ২০১৭ সালের উত্তীর্ণদের থেকে ২০১৪ সালের পাস করা পরীক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়তে পারেন।
চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁদের নিয়োগের কথা ঘোষণাও করেছিলেন। প্রথমে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল, জানানো হয়েছিল পরে আরও কিছু পদে নিয়োগ হবে। অভিযোগ, তার পরে ২ বছর পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ সম্পন্ন হয়নি, উপরন্তু ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদের যুগ্মভাবে ১১ হাজার পদে নিয়োগের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৭ সালের প্রার্থীরা পরীক্ষায় বসলে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের চাকরির সুযোগ অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
সোমবারই নিজেদের দাবি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালের সঙ্গেই কথা হয় আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি দলের। কিন্তু, তা সদর্থক না হওয়াতেই পর্ষদ দফতরের সামনে ধরনায় বসেছেন বিক্ষোভকারীরা। যার পালটা মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন পর্ষদ সভাপতি।