প্রাথমিকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে বিরাট ধাক্কা। আন্দোলনকারীদের আবেদনে সাড়া দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। অবস্থান বিক্ষোভের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সেই বিক্ষোভের মেয়াদ বড়াতে রাজি হল না উচ্চ আদালত। কলকাতা পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে টনা ৫ দিন অবস্থাবন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। তবে চাকরিপ্রার্থীরা আগামী ২ মাস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। চাকরিপ্রার্থীদের সেই আবেদন ফেরাল হাইকোর্ট।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী আগামী ২ মাসের জন্য অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। টেট উত্তীর্ণ জনা পঞ্চাশেক চাকরিপ্রার্থীর সেই আবেদন ফিরিয়েছে উচ্চ আদালত। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান আন্দোলন করার ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন জানাতে বলেছিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- ‘অভিষেকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগই নেই’, জিম্বোর তোপ, চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের অন্দরের গণতন্ত্র
কলকাতা পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের ৫ দিন আন্দোলন করার ছাড়পত্র দিয়েছিল। এরপর পুজোর সময়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার এই চাকরিপ্রার্থীরা ধর্মতালা চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন। এক্ষেত্রে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন খোদ বিচারপতিই। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এক্ষেত্রে বক্তব্য ছিল ''যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায বসে চাকরি ভিক্ষা করবেন, আর পুলিশ তাঁদের তুলে দেবে, এটা হয় না।''
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার, উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যেই বন্ধ খানায় ভরা মেরিন ড্রাইভ
বিক্ষোভকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, অন্য জেলারগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চললেও ব্রাত্য রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে বারবার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।