সুইমিং কস্টিউম পরিহিত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেছিলেন অধ্যাপিকা। তারই জেরে চাকরি খোয়াতে হল তাঁকে। এক ছাত্রের অভিভাবকের নালিশের পরিপ্রেক্ষিতেই নাকি চাকরি খুইয়েছেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপিকা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চাপেই চাকরি হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই অধ্যাপিকা। এমনকী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশেও নাকি অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এহেন পদক্ষেপে তাঁর 'চরিত্র হনন' ও 'যৌন হয়রানি' হয়েছে বলেও পাল্টা অভিযোগ এনেছেন ওই অধ্যাপিকা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোডের জেরে চাকরি খোয়ালেন অধ্যাপিকা! বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চাপেই নাকি তিনি চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই অধ্যাপিকা ইন্সটাগ্রামে তাঁর সুইমিং কস্টিউম পরা একটি ছবি আপলোড করেছিলেন। সেই ছবিটি দেখেই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত এক ছাত্রের বাবা অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে নালিশ জানান। অধ্যাপিকার পরিহিত ওই পোশাক ওই ব্যক্তির 'আপত্তিকর' বলেই মনে হয়েছে। ওই ছবি সোশ্যাল সাইটে দিলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেও দাবি করেন ওই অভিভাবক।
আরও পড়ুন- রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রক্তাক্ত দেহ, বাস-অটো মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু-মিছিল
অভিযোগ, ওই ছাত্রের বাবার নালিশের জেরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপিকাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছেন। যদিও এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতায় হাত দিচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছেন অধ্যাপিকা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আচরণে তাঁর চরিত্র হনন করা হয়েছে বলেও দাবি ওই অধ্যাপিকার। তাঁর দাবি, তাঁর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি প্রাইভেট করা থাকায় কারও ইচ্ছে হলেই যে কেউ তাঁর ছবি দেখতে পারবেন না।
এমনকী ওই পড়ুয়া বা তাঁর বাবারও তাঁর ছবি দেখতে পাওয়ার কথা নয় বলেই মনে করেন ওই অধ্যাপিকা। নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই ছবিটি তিনি একটি স্টোরিতে দিয়েছিলেন বলে জানান অধ্যাপিকা। তাঁর দাবি স্টোরিটি এমনিতেই ২৪ ঘণ্টা পর ডিলিট হয়ে যাওয়ার কথা। সেদিক থেকে দেখতে গেলেও তাঁর ওই ছবি ওই ছাত্র বা তাঁর বাবার দেখতে পাওয়ার কথা নয় বলেই মনে করেন তিনি। নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে ওই ছবি মাসখানেক আগে পোস্ট করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ওই অধ্যাপিকা। অ্যাকাউন্টটি প্রাইভেট থাকায় কোনওমতেই ওই ছবি ওই ছাত্র বা তার বাবা দেখতে পাবেন না বলেই মনে করেন তিনি।