দিল্লি-মুম্বইয়ের পর এবার বাংলাতেও বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল। তাও আবার অধিকারীদের খাসতালুক কাঁথিতে। কাঁথি থানায় নূপুরের বিরুদ্ধে ঘৃণা ভাষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন রাজ্য তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক তথা আইনজীবী আবু সোহেল।
নূপুরের বিরুদ্ধে শান্তিভঙ্গ করা, দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়া, হুমকি দেওয়া-সহ নানা ধারায় মামলা করা হয়েছে। নূপুরকে অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে প্রয়োজনে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, নূপুর শর্মা যা বলেছেন তা দেশের সম্প্রীতির পক্ষে ক্ষতিকর। তার পরেও কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা নূপুর রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন তুলকালাম রাজ্য, তুঙ্গে রাজনীতি, নজরে বিরাট ফায়দা?
আবু সোহেলের দাবি, "২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলার স্পষ্ট বলা আছে, কেউ কোনও ভাবেই ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক ভাষণ দিতে পারবে না। এরকম হলে অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। নূপুরের কথায় দেশজুড়ে অশান্তি এবং সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে। তাঁকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আমি বিস্মিত। আমি কাঁথি থানায় এই জন্য মামলা দায়ের করেছি। মামলার কপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, দিল্লির পুলিশ কমিশনার এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি ও পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে পাঠিয়েছি।"
আরও পড়ুন ‘পূর্ব মেদিনীপুরেও ১৪৪ ধারা?’ পুলিশ পথ আটকাতেই রেগে অগ্নিশর্মা শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশে। ওই মন্তব্যের জন্য নুপুরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিজেপি। তবে গ্রেফতারির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। অশান্তির আঁচ থেকে বাদ যায়নি বাংলাও।
এদিকে বৃহস্পতিবার হাওড়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে শুরু হয়ে শেষমেশ বিজেপির দলীয় কার্যালয়, দোকানপাটে আগুন-ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। রাস্তায় যাঁরা বেড়িয়েছিলেন তাঁরা তো দুর্ভোগে পড়েছেন। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে রাজ্যের অন্যত্র। এই অশান্তি নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে। শুক্রবার এবং শনিবারেও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় তাণ্ডব-বিক্ষোভ চলে।