/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/30/kOSkkLkdcBrGD5NPaOUQ.jpg)
Digha Jagannath Temple: দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ দেবের মন্দির।
Digha Jagannath Temple:দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে শুরু থেকেই নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষ করে BJP দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির নিয়ে নানা মন্তব্য করেছে। এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করেছেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী, যে দিঘার এই মন্দির শুধু পর্যটকদের আকর্ষণ করবে তাই নয়, এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেরও উন্নতি ঘটাবে। এরই পাশাপাশি দিঘার এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে এলাকায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সম্ভাবনাও বেড়েছে। মন্দিরের উদ্বোধনের বেশ কিছুদিন পরে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
তবে অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে গুরুত্ব না দিয়েই শুরু হয়েছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। সম্প্রতি দিঘার মন্দিরে সামনে স্থানীয় প্রচুর মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এই মন্দিরে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়রাই অগ্রাধিকার পাবেন। তবে অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বহিরাগতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগ তুলে তীব্র বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষজন। সেই বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল নেতাকেও।
দিঘার মন্দিরের গেটে স্থানীয়দের এই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং স্থানীয়দেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, "মন্দিরে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি আমার এক্তিয়ারে পড়ে না। ফলে এই বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারব না।"
রামনগর-১ নং পঞ্চায়েত সমিতির INTTUC সভাপতি পার্থ শখা জানা বলেন, "দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির জন্য স্থানীয়রা জায়গা দিয়েছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। স্থানীয়দের কাজ না নিয়ে টাকার বিনিময়ে বাইরে থেকে লোক নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই স্থানীয়দের সুযোগ দেওয়া হোক।"