ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবের পাঁচ দিন অতিক্রান্ত। তবু যেন স্বাভাবিক নয় মহানগর। সাইক্লোনে চুরমার জনজীবনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি চাহিদা জল ও বিদ্যুৎ নিয়ে এখনও শহর কলকাতার বহু এলাকায় জারি বিক্ষোভ-অবরোধ। যদিও রবিবার স্বরাষ্ট্রদফতরের তরফে বলা হয়েছে কলকাতার বেশিরভাগ অঞ্চলেই এই দুটি পরিষেবা পুনরায় স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়েছে।
যদিও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগের তির সিইএসসি (ক্যালকাটা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন)-এর দিকেই রেখেছে কলকাতা পুরসভা। তাদের তরফে বলা হয়েছে এখনও কলকাতা, হাওড়ার একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করতে অপারক সিইএসসি। তবে শহরের ৫০ শতাংশ এলাকায় ফিরে এসেছে বিদ্যুৎ। স্বরাষ্ট্রদফতর থেকে একাধিক টুইট করে জানান হয়, "সিইএসসির তরফে সরকারকে জানান হয়েছে যে কলকাতার মূল এলাকা যেমন যাদবপুর, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, সার্ভে পার্ক। পাটুলি, রিজেন্ট এস্টেট, বেহালা, এনএসসি বোস রোড, বেহালা চৌরাস্তা, জেমস লং সরণি, শিলপাড়া, লেকটাউন, যশোর রোড, নাগেরবাজার, রাসবিহারী ক্রসিং, বিবি চ্যাটার্জি রোড এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।"
CESC reports to GOWB that major parts of the following areas have been restored power:Jadavpur, Selimpur, Mukundapur,Survey Park,Patuli,Regent Estate,NSC Bose Rd,Behala Chowrasta, James Long Sarani,Silpara,LakeTown, Jessore Rd,Nagerbazar, RashBehari Connector,BB Chaterjee Rd(1/2)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) May 24, 2020
GOWB has been earnestly trying to restore power and essential services in rest of the areas also asap.CESC & WBSEDCL have been given firm directions, teams working 24×7,fallen trees being removed by civic & state bodies with help from Army & NDRF, all GOWB agencies deployed.(1/1)
— HOME DEPARTMENT - GOVT. OF WEST BENGAL (@HomeBengal) May 24, 2020
আরও পড়ুন: কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে পুরোদমে কাজ পুরসভার, সিইএসসি নিয়ে রুষ্ট ফিরহাদ
তবে বেহালার একাধিক এলাকাতে রবিবার পর্যন্ত জলমগ্ন থাকা ঘিরে যে বিক্ষোভ চলে সে প্রসঙ্গে সরকারের তরফে বলা হয় যে ইতিমধ্যেই জেনারেটর দিয়ে বুস্টার পাম্প চালিয়ে সেই জলনিকাশী ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। রবিবার শহরের পুরসভার কাজ পরিদর্শনে এসে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "“এখনও প্রচুর গাছ পড়ে রয়েছে শহরজুড়েই। এগুলি সরাতে একটু তো সময় লাগবে। শহরের মূল যে রাস্তাগুলোয় গাড়ি চলাচল করে সেখানে যে গাছ পড়ে রয়েছে বা জলনিকাশীর সমস্যা যদি কিছু থেকে থাকে সেদিকে আগে নজর দিয়েছি। আজকের মধ্যে যতটা সম্ভব কাজ এগিয়ে রাখছি। বেশ কিছু এলাকায় জল জমে আছে। খবর পেয়েছি। প্রায় ১৭টা পাম্প লাগিয়ে সেই জল নামানোর কাজ চলছে। সাতদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আবার রিবিল্ডিংয়ের কাজে হাত দেব আমরা।”
আরও পড়ুন: কলকাতাকে ছন্দে ফেরাতে অনুজ ববির পুরনিগমকে পরামর্শ অগ্রজ সুব্রতর
ববি হাকিম বলেন, “এই মুহুর্তে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনে রয়েছে গোটা বাংলা। কর্মীদের এসে কাজ করাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু এই সংকটের মধ্যেই পুরসভার ১৭ হাজার কর্মী একযোগে দিন রাত কাজ করে কলকাতাকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরনোর কাজ করে চলেছেন। আমি তাঁদের জন্য সত্যিই আজ গর্ববোধ করছি।”
@MamataOfficial কে অনুরোধ, রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখুন। সেটা রাখলে তিন দিন আগেই সেনাবাহিনীকে তলব
করা যেত। @PMOIndia কে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য দিন। অতিরঞ্জিত হিসাব দিলে তার ফল উল্টো হবে।(3/3)— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 24, 2020
Our Army has in short time performed in exemplary manner and effected restoration work.
A big relief to suffering people. Should have been called @MamataOfficial earliest and not after three days.
Army was in full preparedness for relief work even before land fall #Amphan. pic.twitter.com/GcqJ9kyUbJ
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 24, 2020
এদিকে শহরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে শনিবারই বাংলায় মোতায়েন করা হয়েছে ৫ কোম্পানি সেনা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ কাটা এবং সরানোর কাজ করছেন তাঁরা। সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জগদীপ ধনকড় টুইটে জানান যে মুখ্যমন্ত্রী চাইলে আরও তিন দিন আগেই সেনা মোতায়েন করা যেত। মানুষকে এমন বিপর্যয় দেখতে হত না।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন