New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/09/mLPhGwbolpcZbxIlUSAf.jpg)
Purba Bardhaman News: মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা
Purba Bardhaman News: মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা
Purba Bardhaman News: ঠাকুর পুজোর জন্য বাগানে ফুল তুলতে যাওয়া মেয়ের পায়ে ছোবল মেরেছিল বিষধর সাপ। সেই সাপটিকে বালতিতে ভরে ফেলেই মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মেয়েটির প্রাণ বাঁচানোর জন্য তাঁরা চিকিৎসকের কাছে কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা কিশোরী মেয়ে রিঙ্কু ক্ষেত্রপালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্কুলপড়ুয়া মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে বাবা-মা সহ পরিজনরা।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষধর সাপের ছোবলে প্রাণ হারানো কিশোরী রিঙ্কু ক্ষেত্রপালের বাড়ি কালনা ২ ব্লক সংলগ্ন মেমারির পলতা গ্রামে। কালনার বিরুহা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল এই কিশোরী। রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ির বাগানে ফুল তুলতে গিয়ে ছাত্রীটি সর্পদংশনের শিকার হয়।
পরিবার সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে, “অন্যান্য দিনের মতো এদিনও ঠাকুরপুজোর জন্য বাড়ির বাগানে থাকা গাছ থেকে ফুল তুলতে যায় কিশোরী। তখনই তার ডান পায়ে ছোবল মারে বিষধর সাপ। সাপের ছোবল খেয়েই আর্তনাদ শুরু করে কিশোরী। সেই আর্তনাদ শুনেই পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে রিঙ্কুকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ছোবল মারা বিষধর সাপটিকে একটি বালতিতে ভরে ফেলে। তাঁরা কাপড় দিয়ে কিশোরীর ডান পায়ে দুটি বাঁধন দিয়ে দেন।
এরপর আর এক মুহূর্ত দেরি না করে বালতিতে ভরে রাখা ছোবল মারা সাপ-সহ মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ছুটে যান পরিবারের লোকজন। মেয়েটির প্রাণ বাঁচানোর জন্য তাঁরা চিকিৎসকদের কাছে কাতর ভাবে আবেদন জানান। কিন্তু কিছু আর করা যায় না। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন পান্তা খেয়েই বাংলার হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন, দেশের জার্সি গায়ে খেলতে নামার প্রস্তুতিতে প্রাণপাত বঙ্গতনয়ার
চোখের জল মুছতে মুছতে মৃতার বাবা নিখিল ক্ষেত্রপাল এদিন বলেন, “ঠাকুর পুজো করার জন্য সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ির বাগানে থাকা ফুলগাছ থেকে মেয়ে ফুল তুলতে যায়। সেই গাছের কাছেই একটা কাঠের গুঁড়ি ও কিছু টালি রাখা ছিল। সেখানে ঘাপটি মেরে থাকা একটা বিষধর সাপ আমার মেয়ের ডান পায়ে ছোবল মারে। পা দিয়ে ঝরঝর করে রক্ত পড়ছিল। তারপরেই ঘটনার কথা ওঁর মাকে জানায়। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই মেয়ে পথে ঢলে পড়ে। আর কথা বলতে পারছিল না। হাসপাতালে ভর্তিও করি। কিন্তু মেয়ে আর প্রাণে বাঁচানো যায়নি।” এদিনই কালনা হাসপাতাল মর্গে ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়।
ছোবল মারা সাপটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে মৃতার আত্মীয়রা বলেন, “কী ধরনের সাপ কামড়েছে সেটা চিকিৎসক নিজের চোখে দেখে নিতে পারলে চিকিৎসা করতে সুবিধা হবে। এমনটা মনে করেই আমরা বিষধর সাপটিকে ধরে বালতিতে ভরে নিয়ে হাসপাতালে পৌছে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুতেই কিছু লাভ হল না। আমরা চিরতরে আমাদের মেয়েটাকে হারালাম।”