কম খরচেই দ্রুত বিপুল আয়! বেকারদের রোজগারের দিশা দেখাচ্ছেন এই প্রৌঢ়!
Income from farming: শুরুর দিকটায় পথটা অতটা সোজা ছিল না। যদিও পথে নেমে পড়তেই ধীরে ধীরে যেন পথ চলাটাও বেশ সোজা হয়ে যায়। অল্প সময়েই রোজগারও (Income) বাড়তে শুরু করে। প্রথাগত ভাবনার বাইরে গিয়ে নতুন এই প্রয়াসে রীতিমতো সাফল্য পেয়েছেন এই ব্যক্তি। এমনকী তাঁকে দেখে এলাকার অনেকেই প্রথাগত ভাবনার বাইরে গিয়ে নতুন ধরনের কাজের ব্যাপারে উৎসাহিত হচ্ছেন। এলাকার কয়েকজন এই ব্যক্তির থেকে পরামর্শ নিয়ে কারবারেও নেমে পড়েছেন।
এই প্রৌঢ়কে দেখেই নতুন এই কারবারে অনেকে উৎসাহিত হচ্ছেন।
Income from farming: প্রথম দিকে এই ব্যক্তি খানিকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন এই নতুন প্রচেষ্টাকে। তবে কাজে নেমে পড়তেই পরের পথটা যেন বেশ সোজা হয়ে যায়। অল্প সময়েই রোজগারও (Income) বাড়তে শুরু করে। প্রথাগত ভাবনার বাইরে গিয়ে নতুন এই প্রয়াসে রীতিমতো সাফল্য পেয়েছেন এই প্রৌঢ়। এমনকী তাঁকে দেখে এলাকার অনেকেই প্রথাগত ভাবনার বাইরে গিয়ে নতুন ধরনের এই তৎপরতায় সামিত হতে উৎসাহিত হচ্ছেন। কয়েকজন এই ব্যক্তির থেকে পরামর্শ নিয়ে কারবারেও নেমে পড়েছেন।
Advertisment
প্রথাগত চাষ বাদ দিয়ে নতুন কিছু সবজি চাষের প্রবণতা তাঁর নতুন নয়। পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার কোলাঘাটের (Kolaghat) বৃন্দাবনচক গ্রামের বাসিন্দা প্রমথ মাজি (Pramath Maji)। সেই ২০১৩ সাল থেকে প্রমথ মাজি সবুজ ফুলকপি (Green Cauliflower) অর্থাৎ ব্রকোলি (Broccoli) চাষ করে চলেছেন। কখনও তিনি ক্যাপসিকাম (Capsicum) কখনও বা বিভিন্ন রকম বিদেশি সবজিও চাষ করেছেন।
তবে গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপির (colorful cauliflower) চাষ শুরু করেন প্রমথ মাজি। এবছর প্রায় দু'হাজার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন এই কৃষক। এরই পাশাপাশি তিনি ব্লকোলিও চাষ করেছেন। তিনি জানান, এবছর রঙিন ফুলকপির বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বাজারে গড়ে ৪০ টাকা করে তিনি বিক্রি করছেন এই রঙিন ফুলকপি। স্থানীয় দেউলিয়া কোলাঘাট এবং খুকুড়দহ সবজি বাজারে (Sabji Market) তিনি এই রঙিন ফুলকপি (Cauliflower) বিক্রি করছেন। এছাড়া তাঁর বাড়ি থেকেও অনেকে এই রঙিন ফুলকপি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
Advertisment
চাষের কপি মাথায় নিয়ে চলেছেন কৃষক প্রমথ মাজি।
হলুদ ও লাল প্রজাতির ফুলকপিও তিনি চাষ করেছেন। প্রমথ মাজির সবজি চাষ দেখার জন্যও বহু কৃষক (Farmer) যাচ্ছেন তাঁর ক্ষেতে। ওই ব্যক্তি আরও জানিয়েছেন, তিনি পর্যায়ক্রমে এই চাষ করছেন। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে এই রঙিন ফুলকপি মিলবে। বর্তমানে প্রতিদিনই তিনি তাঁর ক্ষেতের ফুলকপি স্থানীয় বাজারে মিলছে।
আগামী দিনে এই রঙিন ফুলকপি চাষের পরিধি তিনি আরও বাড়াবেন বলেও জানিয়েছেন। প্রমথ মাজি বলেন, "ক্ষেতের প্রতি ডেসিমেলে ১৫০টির মতো চারা লাগানো যায়। সেই চারা লাগানোর ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মাথায় ফলন পেতে শুরু করেন কৃষক। সব মিলিয়ে সাধারণ ফুলকপির থেকেও বেশি লাভদায়ক এই রঙিন ফুলকপি।"