বাস ভাড়া বৃদ্ধিতে সায় নেই রাজ্য সরকারের। বুধবার নবান্নে সর্বদল বৈঠকের পরই স্পষ্ট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে রাজ্য সরকারকে স্মারকলিপি দেবে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। আনলক ওয়ানের শুরু থেকেই প্রায় রোজই বাড়ছে জ্বালানির দাম। এই পরিস্থিতিতে ভাড়া বৃদ্ধি না করা হলে বাস পথে নামানো অসম্ভব। একথা সহ ও বীমা স্থগিতের আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছেও ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।
ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেছেন, 'গত আড়াই মাস বাস বন্ধ ছিল। আয় নেই। তাই বীমার কিস্তি স্থগিতের জন্য রাজ্যপাল ধনকড়কে ডেপুটেশন দেব। ডিজেলের দাম রোজই বাড়ছে। ফলে বাস চালানোই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই বিষয়টিও তাঁকে জানানো হবে। পরে, বাস ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে। প্রস্তাব অনুসারে ভাড়া না বাড়লে আর বাস চালানো অসম্ভব।'
লকডাউন শিথিল হতেই বিধি মেনে রাস্তায় বাস চলাচলের অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। বলা হয় বাসের আসন সংখ্যা যতগুলি, ততজনই যাত্রী তোলা যাবে। পরে সেই নিয়মে বদল আসে। তবে, লোকসান প্রথম থেকেই ভাড় বৃদ্ধির দাবি করেছে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলি। রাজ্য প্রথমে সেই দাবি নাকচ করলেও পরে ভাড় নির্ধারণে রেগুলেটরি কমিটি গঠন করে। কমিটিকে বর্ধিত ভাড়ার তালিকাও দেওয়া হয় বেসরকারি বাস মালিকদের পক্ষ থেকে। সংগঠনের দাবি, একদিকে বাসে যাত্রী কম উঠছেন, অন্যদিকে জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে। ফলে আয় হচ্ছে না। এই অবস্থায় পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও কমিটির সদস্যদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেছেন বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। তবে ভাড়া নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত বুধবার নবান্নে সর্বদল বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'ভাড়া না বাড়ালে বাস নামাব না, সেটা বলার সময় এখন নয়৷ গত তিন মাস আপনাদের কঠিন সময় গিয়েছে, আগামী তিন মাসও হয়তো পরিস্থিতি খারাপ থাকতে পারে৷ কিন্তু ভেবে নিন না আপনারা সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা ভেবে পরিষেবা দিচ্ছেন৷'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন