Mango-QR Code: মালদার সুস্বাদু আমের পরিচয় জানতেই QR কোডের ব্যবস্থা চালু করল উদ্যানপালন দফতর। ক্রেতারা সত্যিই মালদার আম কিনে খাচ্ছেন কিনা সেটা QR কোডের মাধ্যমে যাচাই করে নিয়ে সমস্ত তথ্য উঠে আসবে। এমনকী সেই তথ্যে কোন চাষী সেই আম তাঁর গাছে ফলিয়েছেন তাঁর নাম ও পরিচয়ও মিলবে QR কোড স্ক্যান করার মধ্য দিয়ে।
মালদার সুস্বাদু আম কিনতে গিয়ে যাতে কেউ প্রতারিত না হন, তা নিশ্চিত করতেই এবার QR কোড পদ্ধতি চালু করেছে জেলা উদ্যানপালন দপ্তর। সংশ্লিষ্ট দফতরের মালদা জেলার আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে লক্ষণভোগ, ফজলি, হিমসাগর, আম্রপালি এই ধরনের সুস্বাদু জাতের আমগুলির ওপর QR কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। আমের গায়ে QR কোড থাকবে। সেখানে মোবাইলের মাধ্যমে স্ক্যান করলেই সেই ফল সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য বেরিয়ে আসবে। এতে করে মালদার মানুষের কাছে অতি সহজেই মালদার আমের পরিচিতি বাড়বে।
উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর মালদা জেলায় প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমি জুড়ে আমের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের মাত্রা সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টনের বেশিও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে দিল্লির একটি ফল উৎসবের মালদার আমের স্টল করে সেখানেও আমের বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। মালদার আমের পরিচয় জানতে QR কোডের ব্যবহার চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষ বেশ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। নতুন এই পদ্ধতি ইতিমধ্যে চালু হয়েছে মালদার আম বিক্রির ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন- Road Accident: নিউ টাউনে গতির বলি হুগলির তরুণী, অ্যাপ নির্ভর বাইকের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন!
মালদা জেলা উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে এবছর থেকেই এই QR কোড ব্যবহার করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে মালদার লক্ষণভোগ, ফজলি ও হিমসাগর আম জিআই তকমা পেয়েছে। এই তিন প্রজাতির আমে প্রথম কিউ আর কোর্ড ব্যবহার করা হচ্ছে।
মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, "উদ্যানপালন দফতরের এই উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি। মালদার আমের পরিচয় জানতে যে কিউআর কোডের ব্যবহার চালু হয়েছে, তার মাধ্যমে সাধারণ ক্রেতারা অতি সহজেই সমস্ত কিছু তথ্য জানতে পারবেন। মালদার কোন এলাকায় কোন জাতের আম একজন ক্রেতা কিনছেন তার সমস্ত কিছু তথ্য এই কিউআর কোড স্ক্যান করলেই জানা যাবে।"