Rahul Gandhi At Malda: কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র দ্বিতীর পর্বে বুধবারই বিহার থেকে বাংলায় প্রবেশ করেছেন রাহুল গান্ধী। এরপরই তোলপাড় ফেলাকাণ্ডঘটল। মালদায় হরিশ্চন্দ্রপুরে রাহুল গান্ধীর গাড়ি পিছনের কাচে একটা ঢিল এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই ভেঙে চুড়মার হয়ে যায় গাড়ির কাচ।
গাড়ির কাচ ভাঙার পরই দেখা যায়, রাহুল গান্ধী ও অধীর চৌধুরী গাড়ি থেকে নেমে পড়েছেন। ওই সময় রাহুলের পাশেই ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কীভাবে ঘটল এই কাণ্ড? সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধীর চৌধুরী বলেন, 'গাড়িতে বসেছিলাম, কে ঢিল মেরেছে তা তো দেখতে পাইনি। তবে আপনারাই বুঝে নিন কারা ভাঙতে পারে।'
পাল্টা তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, 'অধীর চৌধুরী তৃণমূলের দিকে ইঙ্গিত করতে চাইছেন। আসলে গত কয়েক বছর ধরে রাহুল গান্ধীর কানে বাংলা নিয়ে নেতিবাচক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মনে হচ্ছে, রাহুল গান্ধী জোটের বার্তা মানতে পারছেন না কংগ্রেসের এই রাজ্যের কর্মীরা। তাই এই কাজ বাংলারই কংগ্রেস নেতারা করেছে। '
বুধবারই 'ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রা' বিহারের কাটিহার থেকে ফের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। কংগ্রেসের এই কর্মসূচি ঘিরে মালদায় ভিড়় নজরে পড়ে। সুরক্ষার কাজে থাকা এক পুলিশ কর্মীর দাবি, 'রাহুল গান্ধীর গাড়ির পিছনে বিশাল ভিড় জমেছিল। চাপের কারণে রাহুল গান্ধীর কালো টয়োটার পেছনের কাচ ভেঙে গিয়েছে।'
আরও পড়ুন- Atin Ghosh: মাতৃহারা কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু
'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'র শুরুই অসমের হামলা দিয়ে। অসমে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার উপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব এতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। সেই সঙ্গে প্রশাসনও কংগ্রেসের 'যাত্রা'র পথ রোধ করেছিল। এবার বাংলাতেও 'হামলা'র সম্মুখীন রাহুল গান্ধী।
এর আগে, পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন রাহুল গান্ধীকে মালদা জেলার ভালুকা ইরিগেশন বাংলোতে থাকার অনুমতি দিতে চায়নি। এরপরই যাত্রার সূচি পরিবর্তন করে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কথায়, 'পশ্চিমবঙ্গে রাহুল গান্ধী যেখানে চান সেখানে থাকতে পারবেন না। যেখানে সবাই থাকতে পারে সেখানেই রাহুলজি থাকতে চান, তিনি পাঁচতারা হোটেলে থাকতে চান না। মালদায় প্রশাসন বেকার কাজ করেছে। মুর্শিদাবাদে, আমরা একটি স্টেডিয়ামের ভিতরে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম, আমরা একটি চিঠি লিখেছিলাম…কিন্তু জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে বলেছিলেন যে তার আরও উপরের স্তর থেকে অনুমতি দরকার।'