দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। লোকসভা ভোটের দামামাও বেজে গিয়েছে। এরই মধ্যেই আসনরফা নিয়ে ফের বৈঠকে বসছে ইন্ডিয়া জোট। তার আগে মঙ্গলবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। পরবর্তী বৈঠক নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, চলতি মাসের শেষে নাগপুরে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আগ্রহী ছিলেন পাওয়াররা। কিন্তু সেই সময় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় থাকায় তিনি বৈঠকে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মমতা। ফলে ৪-৫ নভেম্বর বৈঠক হলে তিনি থাকার কথা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, নাগপুরেই আবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সদর দফতর। সেই কারণে কি বৈঠকে সেখানে এড়াতে চাইছেন মমতা, তা নিয়ে প্রশ্ন।
এদিকে, ৭ নভেম্বর মিজোরামে বিধানসভা নির্বাচন। ফোনে কথোপকথনের পর যা শোনা যাচ্ছে, আগামী ৪-৫ নভেম্বর নাগপুরে ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠক হতে পারে। এবং তাতে মমতা যোগ দেবেন। সেই বৈঠকেই সম্ভবত আসনরফা হতে পারে।
কিন্তু আসনরফার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ জোটের বড় কাঁটা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যতই সীতারাম ইয়েচুরি, রাহুল গান্ধীরা মমতা-অভিষেকের সঙ্গে একমঞ্চে বসুন না কেন, বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসের অবস্থান তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। অন্তত রাজ্যের নেতৃত্ব সেই কথা বলছে। তাহলে কীভাবে আসনরফা সম্ভব! তবে শরদ পাওয়ার চান বিধানসভায় আলাদা আলাদা লড়লেও লোকসভায় যেন তিন দল সমঝোতা করে লড়ে। তা আলিমুদ্দিন বা বিধান ভবন কতটা মানবে সেটাই দেখার।