মাঝের লাইনে ট্রেন থামায় প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। হাওড়া-খড়গপুর শাখার দাশনগর স্টেশনে অবরোধে শামিল হলেন তাঁরা। রেল অবরোধের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ঘণ্টাখানেক থমকে ছিল ট্রেন চলাচল। বহু লোকাল ট্রেন আটকে পড়ে। বিভিন্ন স্টেশনে থমকে যায় দূরপাল্লার ট্রেনও। সকাল ৮.২৫ নাগাদ শুরু হয় অবরোধ। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ১০.৫৮ নাগাদ অবরোধ ওঠে বলে রেল সূত্রে খবর। অফিস টাইমে রেল অবরোধে চরম ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। কেবিন ম্যানের গাফিলতিতেই ডাউন লাইনের পরিবর্তে মাঝের লাইনে ট্রেন আসে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা, তৈরি করা হয়েছে তদন্ত কমিটি।
কেন রেল অবরোধ?
সকাল ৮.২০ নাগাদ দাশনগর স্টেশনে ঢোকে ডাউন হাওড়া-পাঁশকুড়া লোকাল। কিন্তু ডাউন লাইনে না এসে ট্রেনটি ঢোকে মাঝের লাইনে। ফলে প্ল্যাটফর্ম পায় না। যার জেরে নামতে পারেননি অনেক যাত্রীই। এরই প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিত্যযাত্রীরা, এবং এরপরই শুরু হয় অবরোধ।
কেন মাঝের লাইনে এল ট্রেন? এজন্য সাঁতরাগাছির কেবিন ম্যানকেই কাঠগড়ায় তুলছেন রেল আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব শাখার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "কেবিন ম্যানের সঙ্গে সকালে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। এর জেরেই ডাউন লাইনের বদলে মাঝের লাইনে চলে আসে ট্রেনটি। এটা ভুল হয়েছে। তদন্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কেউ দোষী প্রমাণ হলে, তাঁকে আমরা শাস্তি দেব। আগামী দিনে যাতে এ ঘটনা না ঘটে, সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন, উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ সমেত, ৪ লক্ষ পদে নিয়োগের আশ্বাস
দক্ষিণ-পূর্ব শাখার আরেক রেল আধিকারিক বলেন, "সাঁতরাগাছির কেবিন ম্যানের গাফিলতির জন্যই এটা হয়েছে। সাঁতরাগাছি থেকে ছাড়ার পর ট্রেনটি মাঝের লাইনে ছিল। কিন্তু দাশনগর স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেনের রুট বদলে ডাউন লাইনে করা হয়নি।"
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ঘটনার জেরে তিনটি এক্সপ্রেস ও ১৮টি লোকাল ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। তিন ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রেল পরিষেবা। অফিস টাইমে দীর্ঘক্ষণ রেল অবরোধের জেরে চরম সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
অন্যদিকে, ওই শাখায় ট্রেন নিয়মিত দেরিতে চলে, এমন অভিযোগও তুলেছেন নিত্যযাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে রেলের এক আধিকারিক অবশ্য বললেন, "এই শাখায় সময় মেনেই ট্রেন চলে।" টিকিয়াপাড়া স্টেশন থেকে হাওড়া স্টেশনে ঢোকার সময় প্রায়শই দীর্ঘক্ষণ সিগন্যালে আটকে থাকতে হয় দক্ষিণ-পূর্ব শাখার ট্রেনগুলিকে। এ সমস্যাও দীর্ঘদিনের। এই প্রসঙ্গে ওই আধিকারিকের কথায়, "এটা সিগন্যালের সমস্যার জন্য হয়। আমরা ৪ নং লাইন করে কিছুটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছি।"