কামারকুণ্ডু রেল সেতু ঘিরে বিতর্ক জারি। এবার এই সেতুর উদ্বোধনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে খবর, আগামী শুক্রবার (১০ জুন, ২০২২) কামারকুণ্ডু রেল সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। গত শুক্রবারই (৩ জুন, ২০২২) নবনির্মিত এই সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তারপরই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। রেলের অভিযোগ কামারকুণ্ডু সেতু নির্মাণে তারা ৬০ শতাংশ ব্যয় করলেও তাদের না জানিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটির উদ্বোধন করে দিয়েছেন। পূর্ব রেলের কোনও আধিকারিককে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি বলে দাবি করা হয়। তাদের আপত্তির কথা ৪ জুন হুগলির জেলাশাসককেও জানিয়েছিল রেল আধিকারিকরা।
সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এরপর শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, কামারকুণ্ডু রেল সেতু নির্মাণে মোট খরচ পড়েছে ৪৪.৮৬ কোটি টাকা। যার মধ্যে কেন্দ্র দিয়েছে ২৬.০৭ কোটি টাকা। রাজ্যের খরচ ১৮.১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ, রেলের তরফে এই সেতু নির্মাণে ৬০ শতাংশ ও রাজ্যের পক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ খরচ করা হয়েছে।
পদ্ম শিবির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে এই সেতু উদ্বোধন নিয়ে সরব হলেও কার্যত চুপ থাকে রাজ্য।
বুধবার পূর্ব রেলের তরফে খবর, আগামী ১০ জুন বিকেল চারটেতে কামারকুণ্ডু রেল সেতুর উদ্বোধন হবে। উদ্যোতা রেল। রেল ডিআরএম ছাড়াও আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আমন্ত্রণ জানানো হবে, আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্নাকেও।
উল্লেখ্য, হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে কামারকুণ্ডু রেলগেটে যানজট নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। ফলে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে কামারকুণ্ডু রেল সেতুর কাজ শুরু হয়। প্রায় ১০ মাস আগেই ব্রিজ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তা চালু হয়নি। এরপর যখন চালু হল তখন বিতর্ক সঙ্গী হল। আট দিনের মাথায় কামানকুণ্ডু রেল সেতুর উদ্বোধন হতে চলেছে দু'বার।