জমি অধিগ্রহণের সমস্যায় বাংলায় আটকে আছে একের পর এক রেল প্রকল্প। এবার সেই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। চিঠিতে অভিযোগের সুরে বৈষ্ণো লিখেছেন যে বাংলা সবচেয়ে বেশি রেলের বরাদ্দ পেয়েছে। অথচ, এই রাজ্যে জমির জটে আটকে আছে ৬১টি রেল প্রকল্প। যার মধ্যে রয়েছে তারকেশ্বর-ধনেখালি, আরামবাগ-চাঁপাডাঙা, তারকেশ্বর-মগরা, কাটোয়া-মন্তেশ্বর, ডানকুনি-ফুরফুরা শরিফ, আমতা-বাগনান, কাঁথি-এগরা, বাঁকুড়া-মুকুটমণিপুর লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্প।
Advertisment
চিঠিতে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বর্তমানে বাংলায় রেলের পরিকাঠামো নির্মাণে ৫০,৯১৫ কোটি টাকার প্রকল্প চলছে। শুধুমাত্র চলতি আর্থিক বছরেই (২০২৩-২৪) বরাদ্দ করা হয়েছে ১১,৯৭০ কোটি টাকার প্রকল্প। যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ। কিন্তু, তারপরও দেখা গিয়েছে যে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা থাকায় বহু রেল প্রকল্প আটকে আছে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ছাড়া যে জমি জটের সমস্যা মেটানো রেলের একার পক্ষে অসম্ভব।
ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের তৃণমূল সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। সেটা শিল্পই হোক বা অন্য কোনও ক্ষেত্রে। পাশাপাশি, শিল্পের জন্য রাজ্য সরকার ল্যান্ড ব্যাংক তৈরি করেছে। কিন্তু, সেটা জোর করে জমি অধিগ্রহণ না-করার রীতিকে বজায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। তবে, সংশোধিত জমি আইন অনুযায়ী, রাজ্য সরকার চাইলে রেলের জন্য জোর করে জমি অধিগ্রহণ করতেই পারে। বদলে যাঁদের উচ্ছেদ করা হবে, আইন অনুযায়ী তাঁদের পুনর্বাসন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা।
কিন্তু, তারপরও মেটেনি রেল প্রকল্পের জন্য জমির সমস্যা। মজার বিষয় হল, যে প্রকল্পগুলোর কাজ আটকে আছে, তার মধ্যে অনেকগুলোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ঘোষণা করেছিলেন। এই সব প্রকল্প বিস্তারিত খতিয়ে দেখার পর রেলবোর্ড তাতে অনুমোদন দিয়েছে। তাই দেরিতে হলেও প্রকল্পগুলোর কাজ চলছে। এই চিঠি পাওয়ার পর রাজ্য সরকার এখন কী ভূমিকা নেয়, এখনও সেদিকেই তাঁরা তাকিয়ে থাকবেন বলেই রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর।