Advertisment

চৈত্রের বৃষ্টিতে পোয়াবাড়ো, হাসি মুখ মালদার আম চাষিদের

আম গাছে স্প্রে করার ক্ষেত্রে যে খরচ বহন করতে হতো চাষিদের, তা  রবিবারের রাতভোর বৃষ্টিতেই সেই কাজ হয়ে গিয়েছে।

author-image
Rajit Das
New Update
rain malda mango farmers , চৈত্রের বৃষ্টিতে পোয়াবাড়ো, হাসি মুখ মালদার আম চাষিদের

চৈত্রে আমের মুকুল ধরেছে।

"এ যেন মেঘ না চাইতেই জল"। রাতভোর বৃষ্টি মালদায় আমের পক্ষে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করল। যার ফলে হাসি ফুটেছে মালদা আম চাষিদের। বর্তমানে এখন আমের মুকুল থেকে গুটি তৈরি হচ্ছে। আর এই বৃষ্টির জেরে সেই গুটির গোড়া যথেষ্ট শক্ত হবে বলে জানিয়েছেন আম চাষিরা। পাশাপাশি এই সময়ে আম গাছে স্প্রে করার ক্ষেত্রে যে খরচ বহন করতে হতো চাষিদের, তা  রবিবারের রাতভোর বৃষ্টিতেই সেই কাজ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই মালদার আম চাষি থেকে ব্যবসায়ী, প্রত্যেকেই এখন লাভের আশায় দিন গুনছেন। তাঁদের বক্তব্য, আবহাওয়া এরকম অনুকূল থাকলে গত কয়েক দশকের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যেতে পারে এবারের আমের ফলন।

Advertisment

মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানিয়েছেন, রাতভর মালদা জেলা জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই এই সময় আমবাগান গুলিতে জলের স্প্রে করতে হয়। এমন সময় বৃষ্টি হওয়ায় আমের পক্ষে অত্যান্ত ভাল। এই বৃষ্টিতে আমের মুকুল গুটিতে পরিণত হয়েছে। তবে দুই একদিন মেঘলা আকাশ থাকলে আমের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতি। এবছর ব্যাপক হারে আমের মুকুল এসেছে। তার ওপরে এই বৃষ্টির জেরে আমের ফলন আরও ভাল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

জেলা উদ্যানপালন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর এলাকা জুড়ে আমচাষ হয়ে থাকে। গত বছর প্রায় পৌনে চার লক্ষ ম্যাটট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল।  এই বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকলে অনেকটাই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছে উদ্যানপালন দফতর। তবে রবিবারের রাতের বৃষ্টিতে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেকটাই ভাল হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকদিন মেঘলা আবহাওয়া থাকতে গেলে নতুন করে রোগ পোকার আক্রমণের ক্ষেত্রেও আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে উদ্যানপালন দপ্তর।

Malda Maldah mango
Advertisment