ফের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাজ্যপাল অভিযোগ করে বলেছেন যে, রাজভবনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে, এর ফলে প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা খর্ব হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-য়ের খবর অনুসারে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেছেন যে, 'রাজভবনকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা খর্ব হচ্ছে। রাজভবনের পবিত্রতা রক্ষায় আমি সবকিছু করতে রাজি আছি।' পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নেই বলেও অভিযোগ ধনকড়ের।
গত এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যপাল-নবান্ন বিবাদ একাধিকবার তুঙ্গে উঠেছে। সেই বিবাদে নতুন মাত্রা যোগ করল 'নজরদারি'র অভিযোগ। শনিবার স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যপালের ডাকা অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় টুইটে অসন্তোষ ব্যক্ত করেছেন ধনকড়। তিনি লেখেন, 'রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর প্রশাসনিক আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে আমি হতবাক। যাঁরা দেশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন, এই দিনে সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন।'
এখানেই শেষ নয়, একাধিক টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, 'ফাঁকা আসনটি থেকে স্পষ্ট যে একটা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা কিনা বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার খাপ খায় না। এই অনাবশ্যক অবস্থানের পক্ষে কোনও যুক্তিই প্রযোজ্যনয়।'
যদিও বিকালে চা-চক্রে মুখ্যমন্ত্রী যোগ দিতে পারবেন না। তা আগেই জানানো হয় রাজভবনকে। তাই সকালে রেড রোডে কুচকাওয়াজ শেষ হওয়ার পর রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, 'এই দিনটি এবং প্রজাতন্ত্র দিবস আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। রাজ্যপালের এখানে বিকালে একটা চায়ের অনুষ্ঠান হয়। বিকালে আমরা আসতে পারব না বলে প্যারেডের পরে নিজেরাই চলে এসেছিলাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাডা়ই। আমরা পাঁচজন মিলে অনেকক্ষণ ধরে রাজ্যপালের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে গেলাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন