Advertisment

একুশের মঞ্চে ঝাঁঝালো ভাষণে চর্চায়! মমতার নির্দেশে তৃণমূলে 'গুরু দায়িত্বে' রাজন্যা

তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বক্তৃতায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাজন্যা হালদার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rajanya haldar appointed president of ju tmcp unit

রাজন্যা হালদার।

এবছর তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে টানটান বক্তৃতায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রাজন্যা হালদার। যুব তৃণমূলের এই নেত্রীকে এবার দলে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সভানেত্রী করা হল রাজন্যা হালদারকে। এছাড়াও যাদবপুরে টিএমসিপি ইউনিটের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে সঞ্জীব প্রামাণিককে। এই দু'জনই এবার থকে যাদবপুরে দলের ছাত্র সংগঠন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।

Advertisment

যুব তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী হিসেবেই উঠে আসছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া রাজন্যা হালদার। প্রতিবার একুশে জুলাইয়ের 'শহিদ সভা'য় দলের নতুন মুখ তুলে আনার চেষ্টায় থাকেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবারও তার অন্যথা হয়নি। ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভার শুরুর দিকেই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি রাজন্যা হালদারকে মঞ্চে ডেকে নেন। মাইক হাতে বেশ কিছুক্ষণের ক্ষুরধার ভাষণে সাড়া ফেলে দেন রাজন্যা।

দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে রাজন্যার তোলা স্লোগানে তুমুল চর্চা শুরু হয়ে যায়। একুশের সভা-মঞ্চে ওই কিছুক্ষণের বক্তৃতাতেই রাজ্য রাজনীতিতে কার্যত নতুন মুখ হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয় রাজন্যা হালদারের। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজন্যার ঝাঁঝালো সেই 'একুশের স্পিচ' রীতিমতো ভাইরাল হয়। চর্চা বাড়তে থাকে দাপুটে এই তৃণমূলনেত্রীকে ঘিরে।

আরও পড়ুন- ছাত্র সংগঠনের দখলদারির রাজনীতির বলি যাদবপুরের ছাত্র? সাংঘাতিক দাবি! জালে আরও ৩

এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাবরই বাম মনোভাবাপন্ন ছাত্র সংগঠনের দাপাদাপি রয়েছে। রাজ্যের পাঁচতারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সংগঠন চাঙ্গা করতে আসরে নেমেছে শাসকদল তৃণমূলও। সেই কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলের ছাত্র সংগঠন ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি ইউনিটের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে সঞ্জীব প্রামাণিককে।

আরও পড়ুন- যাদবপুর কাণ্ডের তীব্র নিন্দা সৌরভের, র‍্যাগিং বন্ধে কী পদক্ষেপ করা উচিত? জানালেন মহারাজ

সংগঠনের সভানেত্রী রাজন্যা হালদার। বৃহস্পতিবার রাতে খোদ দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

abhishek banerjee TMCP tmc Mamata Banerjee Rajanya Haldar Jadavpur University
Advertisment