তেইশের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে ফের একঝাঁক যুবদের দাপট। দলের পোড়খাওয়া নেতাদের পাশাপাশি এবার একুশের ভরা মঞ্চ ছাড়া হল তৃণমূলের যুবদের জন্যও। ধর্মতলার উপচে পড়া ভিড়ে ঝাঁঝালো ভাষণে মঞ্চ মাতালেন সায়নী ঘোষ, রাজন্যা হালদারেরা। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে নজর কাড়লেন তৃণমূলের তরুণরা।
প্রতিবারই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলের নবীন প্রজন্মের কয়েকটি মুখ সামনে আনেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবারও তার অন্যথা হল না। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলের যুবনেত্রী রাজন্যা হালদারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁকে বক্তৃতা রাখতে বলেন তিনি। সুযোগ পেয়ে মিনিট দশেকের টানটান বক্তৃতায় সভা মাতালেন রাজন্যা। মঞ্চে উঠেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের প্রণাম জানিয়ে বক্তব্য শুরু করেন প্রেসিডেন্সির এই ছাত্রী।
আরও পড়ুন- ‘ফের’ তিনি তৃণমূলেই! ছেলেকে নিয়ে একুশের সভার শেষবেলায় হঠাৎ হাজির মুকুল রায়
রাজন্যা এদিন বলেন, '৩০ বসন্ত পেরিয়ে আজ স্বপ্ন দেখি, ধর্মতলায় নয়, ২০২৪-এ লালকেল্লার বুকে হবে ২১ জুলাই পালন।' বক্তৃতায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রসঙ্গ টেনে আনেন রাজন্যা। তিনি বলেন, 'কয়েক দশক আগে এক বাঙালি আমাদের বলেছিলেন দিল্লি চলো, আফশোষ হয়, সেদিন আমরা যেতে পারিনি। আজ ফের এক বাঙালি ডাক দিয়েছেন ইউনাইটেড ইন্ডিয়া হয়ে দিল্লি চলো। আমরা মমতা ব্যানার্জির সঙ্গেই থাকব।'
আরও পড়ুন- এখন বন্ধু কংগ্রেস, কুস্তি ভুলে দোস্তিতে নজর, ২১শে কৌশলী মমতা
রাজন্যার পাশাপাশি এদিন একুশের সভামঞ্চে ঝাঁঝালো ভাষণ শোনা গিয়েছে রাজ্য তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের গলাতেও। ইডির তলব-পর্বে মাঝে দিন কয়েক আড়ালেই ছিলেন সায়নী। তবে এদিন একুশের মঞ্চে হাজির হয়ে স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই আক্রমণ শানালেন প্রতিপক্ষ শিবিরকে।
আরও পড়ুন- অভিষেকের ঘোষণায় সায় নেই মমতার! একুশের ভরা সভায় সাফ জানালেন সেকথাই!
কেন্দ্রের শাসকদলকে তুলোধনা করে সায়নী এদিন বলেন, '৯ বছর আগে পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে বাজারে যেতেন। ব্যাগ ভর্তি বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। এখন ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে বাজারে যেতে হয়। কেন্দ্রের সরকার এখন এই অবস্থা করেছে সাধারণ মানুষের। ২০২৪-এ এই জনবিরোধী সরকারকে ছুঁড়ে ফেলতেই হবে।'
আরও পড়ুন- ২১শের মঞ্চেই বড় আশঙ্কা মমতার! ‘কাল-পরশু থেকেই শুরু হয়ে যাবে’, কী?