সারদা কাণ্ডের তদন্তে চরম বেকায়দায় পড়েছেন রাজীব কুমার। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’-এর মেয়াদ শেষ হতেই রাজীবকে হাতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সিবিআই। সোমবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে হাজিরা দিতেও বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজীবের নামে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে নিয়ে যখন এমন টানাপোড়েন চলছে, সেই সময়ই আবারও বাংলায় রাজীব কুমারকে ফের এডিজি সিআইডি পদে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজীব কুমারকে এডিজি সিআইডি পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। কলকাতায় ভোটের আগে মমতা ঘনিষ্ঠ এই দুঁদে আইপিএসকে রাজ্য থেকে তুলে নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেয় কমিশন। ভোট মিটতেই রাজীব কুমারকে ফের রাজ্যে ফেরাল মমতা সরকার।
আরও পড়ুন: সকাল ১০টায় সিজিওতে রাজীব কুমারকে তলব সিবিআইয়ের
প্রসঙ্গত, রাজীব কুমার বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রিয়পাত্র’ বলে পরিচিত। কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে থাকাকালীন বিভিন্ন সময় রাজীব কুমারের ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে মমতাকে। এমনকি, রাজীব কুমার ‘বিশ্বের অন্যতম সেরা দক্ষ পুলিশ অফিসার’ বলেও ‘সার্টিফিকেট’ দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। গত ফেব্রুয়ারি মাসে লাউডন স্ট্রিটে তৎকালীন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন মমতা। একজন আইপিএসের জন্য মমতার এহেন পদক্ষেপে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যে নির্বাচনী বিধি উঠে যাওয়ার পর ফের রাজ্যে রাজীবকে ফেরানোর সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
অন্যদিকে, শুধু রাজীব নন, নির্বাচনী বিধি প্রত্যাহার হতেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে ফেরানো হয়েছে অনুজ শর্মাকে। একইসঙ্গে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার পদে ফেরানো হয়েছে জ্ঞানবন্ত সিংকে। কমিশনের নির্দেশে কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মাকে সরানো হয়েছিল। পরিবর্তে কলকাতার সিপি করা হয়েছিল রাজেশ কুমারকে। রাজেশ কুমারকে এবার কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হল।
Read the full story in English