রাজীব কুমারকে আরও বেকায়দায় ফেলতে চলেছে সিবিআই। সারদাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে আবারও নোটিস পাঠাতে পারে সিবিআই। আজ-কালের মধ্যেই ফের রাজীবকে নোটিস দিতে চায় সিবিআই। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথাই লেখা থাকতে পারে নোটিসে। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সারদাকাণ্ডের তদন্তে সোমবারই কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে তলব করছিল সিবিআই। কিন্তু ছুটিতে থাকায় সোমবার সিজিও কমপ্লেক্সে রাজীব হাজিরা দিতে পারেননি বলে সিআইডির তরফে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে। বারাণসীতে ৬ দিনের ছুটিতে রয়েছেন রাজীব। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়েছেন রাজীব। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজীবকে আর কোনও সময়ই দিতে চায় না তাঁরা। তাই ফের এই আইপিএসকে নোটিস দিতে পারে সিবিআই।
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধেয় কলকাতায় লাউডন স্ট্রিটে রাজীবের বাসভবনে হানা দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। লাউডন স্ট্রিটের পাশাপাশি পার্ক স্ট্রিটে ডিসি সাউথের অফিস ও ভবানী ভবনে যায় সিবিআই দল। রাজীবকে তলবের নোটিস দেয় সিবিআই। রবিবারই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়, যার উদ্দেশ্য হলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দেশ ছেড়ে যাওয়া আটকানো। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ মে, ২০২০ পর্যন্ত, অর্থাৎ আগামী এক বছর, দেশ ছাড়তে পারবেন না রাজীব কুমার।
আরও পড়ুন: ছুটি নিয়ে বারাণসীতে রাজীব কুমার, সিবিআইকে জানাল সিআইডি
প্রসঙ্গত, রাজীব কুমারের আইনি সুরক্ষার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রাজীবকে সাত দিনের আইনি সুরক্ষার সময় বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। এরপরই বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান কলকাতার প্রাক্তন নগরপাল। কিন্তু আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়া হয়নি বলেই আবেদনটি বাতিল করে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ১৬ মে সারদা মামলায় রাজীব কুমারের গ্রেফতারের অন্তর্বতী রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে গ্রেফতার করতে আর কোনও বাধা নেই সিবিআইয়ের। তবে আইনি পদক্ষেপের জন্য রাজীব কুমারকে সাত দিনের সময় দিয়েছিল আদালত।
সারদাকাণ্ডের তদন্তে রাজীবের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। রাজীবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিলংয়ে টানা ৫ দিন রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।