কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সারদা-কাণ্ডে তথ্যপ্ৰমাণ লোপাট করার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল এক সপ্তাহ। সিবিআই এফিডেভিট দিয়ে রাজীব কুমারকে গ্রেফতারের উপরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার আর্জি জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের তরফে প্রত্যুত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল এক সপ্তাহের মধ্যে।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এই নির্দেশ দিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, "প্রয়োজনে গ্রেফতারির উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।" আজ নির্দেশমতো সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের জবাবি এফিডেভিট জমা পড়ার পর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২২ এপ্রিল। তার আগে সিবিআই চাইলে এই জবাবি এফিডেভিটের প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের আজকের এফিডেভিটে সারদা মামলার দিনপঞ্জি এবং ঘটনাপ্রবাহ বিস্তারিত উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে রাজীব কুমারকে যথেষ্ট কার্যকারণ ছাড়াই "ফাঁসাতে" চাইছে সিবিআই।
এর আগে রাজীব কুমারের কাছ থেকে জবাব তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। সারদাকাণ্ডে রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয় সিবিআই। রাজীবকে গ্রেফতার করার অনুমতি চেয়ে সিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতার প্রাক্তন নগরপালকে নোটিস দেয় আদালত।
সারদা মামলায় রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগ করে আসছে সিবিআই। ফেব্রুয়ারিতে সারদাকাণ্ডের তদন্তে রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআই হানা ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। যে ঘটনার পরই এ মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শিলংয়ে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেন কলকাতার তৎকালীন নগরপাল। টানা ৫ দিন ধরে রাজীবকে শিলংয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।